আনুষ্ঠানিক বিয়ের মাত্র দেড় মাসেই সন্তান আসার সুখবর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী রূপসা চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী সায়নদীপ সরকার। এরপর ২৬ জানুয়রি জন্ম হয় পুত্র সন্তানের।দেখতে দেখতে খুদের বয়স হল ৬ মাস। আর বেশ ধুমধাম করেই হল খুদের মুখেভাত। চলুন দেখে নেওয়া যাক কী ছিল রূপসা আর সায়নদীপের ছেলের অন্নপ্রাশনের মেনুতে।
অনুষ্ঠানে লাল রঙে সেজেছিলেন বাবা-মা-ছেলে। রূপসার গায়ে ছিল লাল রঙের বেনারসি। সায়নদীপের লাল পঞ্জাবি। আর ডুগ্গুর গায়েও লাল পাঞ্জাবি ও তসর রঙের ধুতি। এমনিতেই কিউটনেসের ডিব্বা এই খুদে। মায়ের ভ্লগে হাজির হয়ে, ইতিমধ্যেই নেটপাড়ার হট ফেভারিট হয়ে উঠেছে সে। মুখেভাতেও মিষ্টি মিষ্টি ছবিতে মন কাড়ল রূপসা-পুত্র।
চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক মেনু। নিয়ম মেনেই চিকেন বা মটন রাখেননি রূপসা-সায়নদীপ। তবে ছিল রকমারি মাছের পদ। ছিল ভাত, কচুবাটা, শাক, শুক্তো, ভেজ ডাল, ঝুরি আলুভাজা। সঙ্গে পাবদা মাছের ঝাল, ফিস ফ্রাই, স্যালাড, চিংড়ির বিরিয়ানি, রুইমাছের কালিয়া। ডেজার্টে ছিল চাটনি, পাপড়, পায়েস, রসগোল্লা, সন্দেশ। আর একদম শেষে হজমোলা।
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে সাতপাকে বাঁধা পড়েন রূপসা চট্টোপাধ্যায় এবং সায়নদীপ সরকার। বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই জানুয়ারি মাসে মা হন রূপসা চট্টোপাধ্যায়। যদিও দুজনের আইনি বিয়ে হয়ে গিয়েছিল ২০২৩ সালেই। সামাজিক বিয়ের আগেই সন্তান গর্ভে আসায় কম ট্রোলের মুখে পড়েননি এই দম্পতি। যদিও সেসবে পাত্তা দেননি একেবারেই। বরং, সায়নদীপের পালটা জবাব ছিল, তাঁদের বিয়ে মায়ের পেটুতে বসেই দেখেছে তাঁদের ছেলে। রূপসাও জানান, ছেলেকে নিয়েই একসঙ্গে বড় হবেন দুজনে। কম বয়সে সন্তানের মা-বাবা হওয়া নিয়ে কোনো খেদ নেই তাঁদের মনে। বরং চুটিয়ে উপভোগ করছেন এই বিশেষ সময়টা।
ছেলের বয়স সাড়ে তিন মাস পেরোতে না পেরোতেই কাজে ফিরেছেন রূপসা। একটি ওয়েব সিরিজের শ্যুটও করে ফেলেছেন। শট দেওয়ার ফাঁকে, গ্রিনরুমে এসে ডুগ্গু ওরফে অগ্নিদেবকে করিয়েছেন স্তন্যপানও। রূপসা চট্টোপাধ্যায়কে দর্শকরা শেষবার দেখেছেন বিনোদিনী একটি নটীর উপাখ্যান ছবিতে। বিনোদিনীর বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই ছবির প্রচার রূপসা করেছিলেন, গর্ভাবস্থার একদম অন্তিম পর্যায়ে এসে।