মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে তীব্র মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে গোটা গ্রাম। চারজনের মৃত্যু ছাড়াও ৫০ জনেরও বেশি আহত হয় হড়পা বানে, এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ১০০ জন। এবার এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্ত। সমাজমাধ্যমে নিজের ওয়ালে ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি শোকপ্রকাশ করেন। সবাই সুস্থভাবে ফিরে আসুক, এমনটা প্রার্থনাও করেন। উত্তরকাশীর ভয়াবহ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সকলেই উদ্বিগ্ন। এই অবস্থায় ঘটনার পরদিনই নিজের সমাজ মাধ্যমে আহতদের জন্য প্রার্থনা করলেন ঋষভ পন্ত। সকলে সুস্থ থাক, এমন আশাও রাখলেন।
আরও পড়ুন - ইংল্যান্ডে টেস্টে দুর্ধর্ষ ‘জয়ের’ পর ফের কবে বাইশ গজে ভারতীয় টিম? দেখে নিন সূচি
টেস্টেও মনজয় করেন অনুরাগীদের
টেস্ট সিরিজ চলাকালীন পন্ত একাধিকবার আহত হন। আঘাতের জেরে ওভালে শেষ টেস্টটি মিস করেন। টেস্ট সিরিজে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৬৮.৪২। ৪৭৯ রান করে পন্ত টেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন ট্রফিতে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। কিন্তু চোট শেষ টেস্ট থেকে ছিটকে যান উইকেট কিপার। ম্যানচেস্টারে ক্রিস ওকসকে রিভার্স সুইপ করার সময় তিনি পায়ের আঙ্গুলে ফ্র্যাকচার পান।
মানবিক আচরণে বারবার অনুরাগীদের মন জয়
ভারতীয় এই ক্রিকেটারের সমব্যথী মনোভাব আরও নানা ক্ষেত্রেই নানাভাবেই দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি কর্ণাটকের এক কিশোরীর উচ্চশিক্ষার ভার নিয়ে অনুরাগীদের মন জয় করে নিয়েছেন এই উইকেট কিপার। কর্ণাটকের জ্যোতি কানাবুর ক্লাস টুয়েলভের পরীক্ষায় ৮৩ শতাংশ মার্কস পেয়ে পাশ করলেও অর্থাভাবে কলেজে ভর্তি হতে পারছিলেন না। পন্ত সে কথা জানতে পারার পর তাঁর কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য অর্থসাহায্য করেন।
আরও পড়ুন - বিরিয়ানি নিয়ে 'হায়দরাবাদি' সিরাজের ডায়েট-রুল কী? টেস্টের আগে মাকে বলেছিলেন...
কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা
কর্ণাটকের বিলাগি তালুকের রাবাকাভি গ্রামের বাসিন্দা জ্যোতির বাবা একটি ছোট্ট চায়ের দোকান চালান তীর্থ্যা গ্রামে। ফলে স্কুল ফাইনাল অর্থাৎ ক্লাস টুয়েলভ পাশ করার পর পড়াশোনা একপ্রকার বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল। এই সময় গ্রামের স্থানীয় ঠিকাদার অনিল হুনাশিকাট্টির ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন জানায় জ্যোতির পরিবার। অনিল তাঁর বেঙ্গালুরুর বন্ধুদের বিষয়টি জানান। যারা আবার ঘটনাচক্রে ঋষভের ঘনিষ্ঠ। জ্যোতির কথা জানতে পারার পরেই দ্রুত তাঁকে কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন পন্ত।