১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করা দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। তাদের কাছে লিগের শেষ ৩টি ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে খারাপ খবর এই যে, দলের সেরা পেসার মিচেল স্টার্ককে লিগের বাকি ম্যাচগুলিতে পাচ্ছে না দিল্লি।
এমন পরিস্থিতিতে ক্যাপিটালসকে নির্ভর করতে হবে মুস্তাফিজুর রহমানের উপরে। জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের বদলে মুস্তাফিজকে দলে নিয়েছে দিল্লি। রবিবার সকালে ক্যাপিটালস শিবিরে যোগ দিয়ে সন্ধ্যায় গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পড়ার কথা বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসারের।
এখন প্রশ্ন হল এই যে, মুস্তাফিজুর কি স্টার্কের জুতোয় পা গলাতে পারবেন? অজি পেসারের মতো কার্যকরী হয়ে দেখা দিতে পারবেন কিনা মুস্তাফিজ, এমন প্রশ্ন যাঁদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, তাঁদের দুশ্চিন্তা অমূলক বলা যায়। কেননা স্টার্ক ও মুস্তাফিজুরের আইপিএল কেরিয়ার পাশাপাশি রাখেল বিশেষ তফাৎ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
মুস্তাফিজুর অতীতে আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়েছেন এবং এই মুহূর্তে দারুণ ছন্দে রয়েছে। দিল্লি শিবিরে যোগ দেওয়ার ঠিক আগের দিনই শারজায় বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতান তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগেও দুর্দান্ত বল করেন তিনি।
স্টার্কের আইপিএল কেরিয়ার
মিচেল স্টার্ক এখনও পর্যন্ত ৫২টি আইপিএল ম্যাচের ৪৯টি ইনিংসে বল করে সাকুল্যে ৬৫টি উইকেট নিয়েছেন। তিনি ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন ২ বার। বোলিং গড় ২৩.১২। স্ট্রাইক-রেট ১৬.১। সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স ৩৫ রানে ৫ উইকেট। স্টার্ক আইপিএলে ওভার প্রতি ৮.৬১ রান করে খরচ করেছেন।
আরও পড়ুন:- ৪ বলে ৩ উইকেট, ভিনদেশের হয়ে মাঠে নেমে তামিলনাড়ুর আদিত্য হারিয়ে দিলেন বাংলাদেশ-এ দলকে
মুস্তাফিজুরের আইপিএল কেরিয়ার
মুস্তাফিজুর রহমান এখনও পর্যন্ত ৫৭টি আইপিএল ম্যাচের ৫৭টি ইনিংসে বল করে সাকুল্যে ৬১টি উইকেট নিয়েছেন। তিনি ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন ১ বার। বোলিং গড় ২৮.৮৮। স্ট্রাইক-রেট ২১.২। সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স ২৯ রানে ৪ উইকেট। মুস্তাফিজ আইপিএলে ওভার প্রতি ৮.১৪ রান করে খরচ করেছেন।
সুতরাং, আইপিএলে স্টার্কের থেকেও কৃপণ বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর। তিনি শনিবার শারজায় আমিরশাহির বিরুদ্ধে ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট তুলে নেন। সেঞ্চুরি করার জন্য পারভেজ হোসেন ইমন ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতলেও আসলে মুস্তাফিজুরের দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যাচ জিততে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগের ১২টি ম্যাচে বল করে ১৩টি উইকেট দখল করেন। তিনি ওভার প্রতি ৭.৩৫ রান করে খরচ করেন। সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স ১৬ রানে ৩ উইকেট, যা তিনি টুর্নামেন্টে নিজের শেষ ম্যাচে উপহার দেন। সুতরাং, নিজের শেষ ২টি টি-২০ ম্যাচে ৮ ওভার বল করে ৩৩ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন মুস্তাফিজ। তাঁর এমন পারফর্ম্যান্স নিশ্চিতভাবেই আশ্বস্ত করবে দিল্লি ক্যাপিটালসকে।