আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতে আর বেশিদিন বাকি নেই। ওই হাতে এক মাস মতো সময় রয়েছে। দলগুলোর প্রস্তুতি যখন শেষ পর্বে তখন পাকিস্তানের স্টেডিয়ামগুলোর কাজ চলছে এখন মধ্য গগনে। অর্থাৎ একাধিক স্টেডিয়ামে কাজ শেষ হতে এখনও অনেকটা সময় বাকি রয়েছে। যা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিন্তা থামছে না।
আরও পড়ুন-‘আরও গোল করতে পারতাম’, ৩ গোলে জিতেও বলছেন মোলিনা! লিস্টনের ভাবনায় এখন শুধুই ডার্বি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে চাপে আইসিসি-
এমনিতেই গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টি২০ বিশ্বকাপের সময় আইসিসিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, কারণ মার্কিন মুলুকে স্টেডিয়াম থেকে পিচ, অনেকক্ষেত্রেই কাজ শেষ হয়নি। ফলে এমন পিচে ক্রিকেটারদের খেলতে হয়েছিল, যার ফলে খেলোয়াড়দের চোট লাগতেও পারত। এই আবহে পাকিস্তানেও মাঠ এবং গ্যালারির কাজ অনেকটা বাকি থাকায় চাপে আইসিসিও।
আরও পড়ুন-সুস্থ হয়ে উঠছেন… চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার আগেই নির্বাচকদের বার্তা কুলদীপের!
ফেবরুয়ারির ১২ তারিখের মধ্যে আইসিসির হাতে স্টেডিয়ামগুলোকে দিয়ে দিতে হবে। কথা ছিল গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে, কিন্তু তা হয়নি। এখনও কাজ অনেকটা বাকি রয়েছে। জানা যাচ্ছে চলতি সপ্তাহেই আইসিসির একটি দল পাকিস্তানে আসবে। সেখানে এসে নিজেরাই কাজে তদারকি করে দেখবে ঠিক কি অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও দুবাইয়ের মাঠও পরিদর্শে যাবে আইসিসির দল। তবে দুবাই নিয়ে এত মাথা ব্যথা নেই আইসিসির, কারণ প্রধান আয়োজক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পাকিস্তান।
আরও পড়ুন- BGTতে ব্যর্থ হলেও এখনই অবসর নয় বিরাটের! তবে টেস্ট দলে ঢুকতে দিতে হবে লাল বলে পরীক্ষা!
পাকিস্তানের কাজে বিরক্ত আইসিসি-
আইসিসির এক সূত্র উষ্মাপ্রকাশ করে বলছেন, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে স্টেডিয়ামগুলোর কাজ শেষ হওয়া থেকে এখনও অনেকটা দূরে রয়েছে। সিট, ফ্লাডলাইট ছাড়াও অন্যান্য পরিকাঠামোর অনেক কাজই এখনও বাকি রয়েছে। আউটফিল্ড, প্লেয়িং সারফেসও ঠিক নেই। ’। বিশেষ করে লাহোর এবং করাচির স্টেডিয়াম নিয়ে চিন্তা রয়েছে। কারণ এখানে ড্রেসিং রুম এবং হসপিটালিটি বক্সের কাজ এখনও অনেকটাই বাকি রয়েছে, যা ১ মাসে শেষ করাও কঠিন।
আইসিসির সেই সূত্র আরও জানাচ্ছে, ‘দ্রুত মাঠের কাজগুলো শেষ করতে হবে, যদিও আবহাওয়া অনুকুল নয়। গদ্দাফি স্টেডিয়ামে এখনও প্লাস্টারের কাজও শেষ হয়নি। ড্রেসিং রুমও তৈরি নয়। আইসিসির ইভেন্টে তো আর সাধারণ ঘরকে ড্রেসিং রুম বানানো যায় না। আইসিসির নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠি রয়েছে, যেগুলোকে পূর্ণ করতে হয় ’।
আরও পড়ুন- ISL - ১১তারিখ ডার্বি হচ্ছে না কলকাতায়! সরতে পারে ভুবনেশ্বরে! FSDLর দিকেই তাকিয়ে মোহনবাগান
গদ্দাফি স্টেডিয়াম নিয়েই চিন্তা-
এই গদ্দাফি স্টেডিয়ামেই হওয়ার কথা সেমিফাইনাল, ভারত যদি ফাইনালে না ওঠে তাহলে ফাইনালও হবে গদ্দাফি স্টেডিয়ামেই। কিন্তু শেষ মূহূর্তে এত কাজের চাপ পড়ায় তাঁরা হিমসিম খাচ্ছে। ওভারটাইম করতে হচ্ছে শ্রমিকদের। নতুন যে সব নির্মানের কথা ছিল, সেগুলো আপাতত থামিয়ে কোনওমতে ক্রিকেটার এবং দর্শকদের জন্য যে নূন্যতম মানের পরিকাঠামো, তা দেওয়ার জন্য মরিয়া পিসিবি।
প্রতিযোগিতা সরতে পারে আরবে-
যা পরিস্থিতি তাতে গোটা প্রতিযোগিতায় আরবে নিয়ে চলে যাওয়া হতে পারে, যদি পাকিস্তান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্টেডিয়াম আইসিসির হাতে না দিতে পারে। আইসিসির তরফ থেকে স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওভাবেই সেমি রেডি ভেনু, অর্থাৎ আধা তৈরি মাঠে খেলা হওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে পাকিস্তানে আইসিসির প্রতিনিধিদের পরিদর্শনই গোটা বিষয়টি খোলসা করতে পারে।