জুলাইয়ের ১৯ তারিখেই ৭০ বছর পূর্ণ হল বিসিসিআইয়ের সভাপতি রজার বিনির। আর তারপরই প্রশ্ন উঠে গেছে আদৌ তিনি বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদে আর থাকতে পারবেন কিনা। কারণ সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা অনুমোদিত সংবিধান অনুযায়ী ৭০ বছর বয়স হয়ে গেলেই পদ থেকে অব্যাহতি দিতে হয়। ফলে বিসিসিআইও সেই নিয়মেই বাইরে নয়। সেক্ষেত্রে বিসিসিআইয়ের বর্তমান সহ সভাপতি রাজীব শুক্লাকেই আগামী বোর্ড সভাপতি হিসেবে দেখা যেতে পারে, সাময়িক সময়ের জন্য। সেপ্টেম্বরে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা, সেক্ষেত্রে ততদিন পর্যন্ত কোনও স্বাক্ষরের ক্ষমতা না থাকলেও পদে কেয়ারটেকার হিসেবে বহাল থাকতে পারেন বিনি।
এমনিতে বিসিসিআই সরকারের টাকায় চলে না, তবে যেহেতু বিসিসিআই জাতীয় স্পোর্টস ফেডারেশনের আওতায় পড়ে, তাই জাতীয় ক্রীড়া নীতির নিয়মও ভারতীয় বোর্ডকে মেনে চলতে হয়। আসন্ন পার্লামেন্টের অধিবেশনেই ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জাতীয় ক্রীড়া নীতি প্রকাশ করতে পারেন। যদিও জানা গেছে, নয়া ক্রীড়া নীতি অনুযায়ী ৭০ থেকে বাড়িয়ে বয়সের উর্ধ্বসীমা ৭৫ পর্যন্ত করা হচ্ছে, কোনও পদে থাকার ক্ষেত্রে। অর্থাৎ ৭০ থেকে ৭৫ বছর বয়সীরাও নয়া নীতি পাস হলে ক্রীড়ার নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে রজার বিনিকে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে নাও পতে পারে, কারণ আইসিসির ক্ষেত্রে এমন কোনও নিয়মই নেই বয়স সংক্রান্ত।
পিটিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী বিসিসিআইয়ের সভাপতি এখন বিষয়টি সচিব দেবজিত সাইকিয়া এবং আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। প্রস্তাবিত জাতীয় ক্রীড়া বিল অনুযায়ী কেউ যদি ৭০ বছরে পড়ার একদিন আগও পদে নির্বাচিত হয়, তাহলে নিজের পুরো মেয়াদকালই সেই পদে কাটাতে পারবেন। তবে তার জন্য এই বিল পাস হওয়া জরুরি। সেক্ষেত্রে বিনির ভাগ্য খুলতে পারে, এবং তিনি আরও তিন বছরের জন্য এই পদে থাকার সুযোগ পেতে পারেন।
বিসিসিআইয়ের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে, যে রাজীব শুক্লাকে এই পদে আনা হবে ২ মাসের জন্য, নাকি নয়া বিল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। আইসিসির বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ায় অনেক বোর্ড কর্তাই ভারতে নেই। আপাতত বিসিসিআই বা রজার বিনি, কেউই এই বিষয় নিয়ে মুখ খোলেনি।