বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ গতকাল অর্থাৎ রবিবার, ২০ জুলাই প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে। ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দল পুরো ২০ ওভারও টিকতে পারেনি এবং ১০৯ রানে থেমে যায়। এরপর বাংলাদেশ ১৫.৩ ওভারে ১১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে। বাংলাদেশের নায়ক ছিলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন, যিনি ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। পারভেজকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করার পর, পাকিস্তান দলের শুরুটা ভালো ছিল না। প্রথম ৬ ওভারে ৪১ রানে ৪ উইকেট হারায় দল। স্যাম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস এবং অধিনায়ক সালমান আগার মতো ব্যাটসম্যানরা একক অঙ্কে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ওপেনার ফখর জামান এক প্রান্ত ধরে ছিলেন, কিন্তু ১২তম ওভারে খুশদিলের সাথে সমন্বয়ের অভাবে তিনি রান আউট হন। ফখর ৪৪ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন। ৩৪ বল মোকাবেলা করে তিনি ৬টি চার এবং ১টি বিশাল ছক্কা মারেন। পাকিস্তানের দুর্বল ব্যাটিং অনুমান করা যায় যে ফখর জামান ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যান ২৫ রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি। আব্বাস আফ্রিদি ২২ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। ১১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ দলের শুরুটাও ভালো হয়নি। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং অধিনায়ক লিটন দাস ১-১ ব্যক্তিগত স্কোরে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। বাংলাদেশ ২.২ ওভারে ৭ রানে ২ উইকেট হারায়। এরপর পারভেজ হোসেন ইমন তৌহিদ হৃদয়ের সমর্থন পান এবং একসাথে তারা কেবল দলকে দেখাশোনা করেননি বরং জয়ের পথও দেখিয়েছিলেন। ৮০ রানের স্কোরে, বাংলাদেশ তৃতীয় ধাক্কা পায় তৌহিদ হৃদয়ের আকারে যিনি ৩৬ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে আব্বাস আফ্রিদির শিকার হন। তবে, দলকে জয়ের দিকে নিয়ে গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন পারভেজ হোসেন ইমন। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ২২ জুলাই খেলা হবে।