বর্ষার মাঝেই নতুন করে আশার আলো তিলপাড়া ব্যারাজ ঘিরে। বেশ কয়েকমাস ধরে বন্ধ থাকা সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচল এবার হয়তো আগেভাগেই শুরু হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ব্যারাজের দু’প্রান্তে সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। মাঝের অংশেও দ্রুতগতিতে কাজ এগোচ্ছে। সেচ দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, প্রায় দেড় সপ্তাহের মধ্যেই মূল কাজ শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এরপর ব্যারাজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার রিপোর্টে সবুজ সংকেত মিললেই ফের যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। ফলে আসন্ন দুর্গাপুজোর আগেই সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হতে পারে।
আরও পড়ুন: তিলপাড়া ব্যারাজে ফাটল বাড়ছে, চাপ কমাতে জলশূন্য করা হচ্ছে, পরিদর্শনে বিশেষজ্ঞরা
আলিপুরদুয়ার ও বীরভূমকে সংযুক্ত করা তিলপাড়া ব্যারাজের সংস্কার নিয়ে জোরকদমে কাজ চলছে। কিছুদিন আগেই ভারী বর্ষণে ময়ূরাক্ষী নদীতে হঠাৎ জলস্ফীতি দেখা দেয়। তার ফলে ব্যারাজের নীচ থেকে বালি ও মাটি সরে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় র্যাফট এবং ডিভাইড ওয়ালের মতো গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষজ্ঞ জুলফিকার আহমেদের পরামর্শে দ্রুত সংস্কার শুরু হয়। ভরা বর্ষায় ব্যারাজ অক্ষত রাখা তখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তাই যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। বর্তমানে বাইক ও ই-রিকশা চলাচল সাময়িকভাবে অনুমোদিত হলেও ভারী যান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে। দু’প্রান্তের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, মাঝের অংশেও দ্রুত কাজ এগোচ্ছে। সব ঠিকঠাক থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। তারপর হবে ব্যারাজের বিস্তারিত পরীক্ষা। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যান চলাচল নিয়ে।
এখনও ব্যারাজের উপর দিয়ে বাস বা ভারী যান চলাচল বন্ধ থাকায় ঘুরপথ ব্যবহার করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে সময় ও খরচ দুই-ই বাড়ছে। তাই স্থানীয়রা দ্রুত সমাধান চান। তাঁদের আশা, সংস্কার শেষ হলে আর দেরি না করে ব্যারাজ খুলে দেওয়া হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সংস্কার-পরবর্তী পরীক্ষায় সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে দুর্গাপুজোর আগেই ব্যারাজে স্বাভাবিক যান চলাচল ফেরানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সেচ দফতরের বিশেষজ্ঞ টিম। তাঁদের রিপোর্টেই নির্ভর করছে ব্যারাজের উপর সেতুর ভারবহন ক্ষমতা ও নিরাপত্তা।