২০২৪ সালের ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ এবং খুনের মামলা থেকে সরলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এই ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে নতুন করে তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। সেই মামলা এবার সরতে পারে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিকে ইতিমধ্যেই মামলা থেকে সরে যাওয়ায় মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পাঠিয়ে দিয়েছেন জাস্টিস তীর্থঙ্কর ঘোষ। (আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শুরু, তবে স্থগিত হল বর্ধমানের পরীক্ষা)
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামী নতুন করে মামলা করেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলার শুনানিও চলছে। এই কারণে জাস্টিস তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, নির্যাতিতার মা-বাবার দায়ের করা মামলার শুনানিও ডিভিশন বেঞ্চে হওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, সিবিআই এবং আসামীর দায়ের করা মামলার শুনানি হচ্ছে বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। উল্লেখ্য, তদন্তে খুশি না হওয়ায় এসআইটি গঠন করে তদন্তের দাবিতে গত ডিসেম্বরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। সেই সময়ও উচ্চ আদালতের বিচারপতি নির্যাতিতার পরিবারের সেই আবেদন শুনতে চাননি। কারণ সুপ্রিম কোর্টেও আরজি কর মামলা চলছিল। পরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, হাইকোর্ট এই মামলা শুনতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মামলায় চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক অনির্বাণ দাস। এদিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমনা দিতে হবে সঞ্জয় রায়কে। এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি আদালতের তরফ থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩ (ধর্ষণ), ৬৪ (ধর্ষণের সময় এমন ভাবে আঘাত করা, যাতে মৃত্যু হয়), ১০৩ (১) নং (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এই আবহে সঞ্জয়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০,০০০ টাকা জরিমানা, ৬৬ ধারায় আওতায় আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ১০৩ (১) ধারার আওতায় সশ্রম যাবজ্জীবনের সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে বিচারক নির্দেশ দেন, নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে। বিচারক বলেছিলেন, এই মামলা বিরলের থেকে বিরলতম নয়।