বাগুইআটির রঘুনাথপুর এলাকায় পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক ফল ব্যবসায়ীর মৃতদেহ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ সাহা (৩৮)। বাড়ি হাবড়ায়। পেশায় ফল ব্যবসায়ী। তাঁর দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: গ্রেটার নয়ডার পুনরাবৃত্তি আমরোহাতে! স্ত্রীর গায়ে আগুন কনস্টেবলের, তারপর যা হল…
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিআইপি রোড সংলগ্ন রঘুনাথপুরে তাঁর একটি ফলের দোকান রয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত পর্যন্ত দোকান সামলেছিলেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু মঙ্গলবার দোকানে তিনি যাননি, দোকান চালিয়েছেন কর্মচারীরা। বাড়িতেও ফেরেননি। সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে কোথাও পাওয়া যায়নি। পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বুধবার সকালে রঘুনাথপুরের দোকান থেকে প্রায় সাতশো মিটার দূরে একটি পুকুরে দেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা চমকে ওঠেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যরা পৌঁছে দেহ শনাক্ত করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের পায়ের আঙুলে গভীর ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, মৃত্যু ঘিরে রহস্য রয়েছে। বিশ্বজিৎ কি খুন হয়েছেন, নাকি কোনওভাবে দুর্ঘটনাবশত পুকুরে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে। ঘটনায় পরিবারের সদস্য এবং দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। বিশ্বজিতের কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক কোনও শত্রুতা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফল ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে পুরো এলাকায় এখন প্রবল আলোড়ন। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে। তবে সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত এগোচ্ছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সে বিষয়ে আরও স্পষ্টভাবে পুলিশ।