লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জালিয়াতি করে আবেদনের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সেই পরিস্থিতিতে জালিয়াতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে প্রশাসন। এবার থেকে ফর্ম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকেই সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। কেউ তাঁর হয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন না। আবেদনকারীর মুখাবয়ব ও নথির ছবির মিল খতিয়ে দেখতে গিয়েই এই কড়া নির্দেশ। জালিয়াতি রুখতে এই নির্দেশ দিয়েছে বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লক প্রশাসন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্টে, যৌথ তদন্তে KMC
অভিযোগ ওঠে, তালডাংরার রাজপুরে একটি সাইবার কাফের মালিক মনিরুল খান নিজের আধার কার্ডে এক মহিলার ছবি বসিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা নিচ্ছিলেন। তারপরেই তিনি প্রশাসনের চোখে পড়ে যান। শুধু তাই নয়, আধার কার্ডে লিঙ্গের ঘরেও তিনি 'মহিলা' লিখে জালিয়াতি চালান। ব্লক অফিসে সেই জাল কার্ড ও ফর্ম জমা পড়ে গেলে প্রথমে ধরা না পড়লেও পরে নজরে আসে ব্যাপারটি। এরই ভিত্তিতে পুলিশ মনিরুলকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি শ্রীঘরে।
অভিযোগ, মনিরুল শুধু নিজেই নয়, আরও কয়েকজনের আধার কার্ডে ছবি বদলে আবেদন করার ব্যবস্থা করে দিতেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা সরাসরি নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই তাঁর উৎসাহ আরও বাড়ে। সেই ঘটনাই এবার প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। তালডাংরার বিডিও অনিন্দিতা সিনহা ব্রহ্ম জানিয়েছেন, ফর্ম জমা পড়ার পর নথি আপলোড করার সময় সঙ্গে সঙ্গে যাচাই করা সম্ভব হয় না। তাই প্রসাধন চাইছে জমা দেওয়ার মুহূর্তেই নথি মিলিয়ে দেখা হোক। আবেদনকারী উপস্থিত থাকলে কর্মীরা ফর্মে থাকা ছবির সঙ্গে সরাসরি তাঁর মুখ মেলাতে পারবেন। ফলে কোনও পুরুষের পক্ষে আর মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্পে আবেদন করা সম্ভব হবে না।