‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’-এর নিরীক্ষায় এবার দেশের মধ্যে সেরা হল কলকাতার গণশৌচালয় ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কলকাতা পুরসভাকে দেওয়া হয়েছে ‘ওডিএফ প্লাস সার্টিফিকেট’, যা প্রমাণ করে মহানগরীর কোনও ওয়ার্ডেই খোলা জায়গায় শৌচকর্ম নেই এবং পুরসভার অধীনে থাকা শৌচালয়গুলি সবকটাই স্বাস্থ্যকর ও মানসম্পন্ন।
আরও পড়ুন: বড় আকারে ও স্পষ্টভাবে থাকতে হবে ‘বাংলা’ লেখা, না হলেই সাইনবোর্ড সরিয়ে দেবে KMC
বর্তমানে শহরে মোট ৪৭৮টি গণশৌচালয় রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৭টি শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য। প্রতিটি শৌচালয়ের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হাতে। কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ পরিদর্শনে আসেন। শহরের একাধিক শৌচালয়ের পরিকাঠামো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্যানিটেশন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই কলকাতা পুরসভাকে দেশের মধ্যে সেরা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
শুধু বিদ্যমান পরিকাঠামো নয়, আরও বিস্তৃত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পুরসভা। সূত্রের খবর, শহরের পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে নতুন পাবলিক শৌচালয় তৈরি হবে। ইএম বাইপাস থেকে কামালগাজি পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তার ধারে নয়টি নতুন শৌচালয় গড়ে তোলার কাজ শুরু হবে শিগগিরই। পাশাপাশি উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতাজুড়ে বিশেষভাবে মহিলাদের জন্য আরও একাধিক শৌচালয় তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য সরকারি জমি চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। পুরসভার এক কর্তা জানান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই শংসাপত্র শুধু পুরসভার সাফল্যের স্বীকৃতিই নয়, বরং কলকাতাকে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করবে। শহরবাসীর স্বাস্থ্যের সুরক্ষাই পুরসভার প্রধান উদ্দেশ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, কলকাতার এই স্বীকৃতি দেশের অন্যান্য শহরগুলির জন্য উদাহরণ তৈরি করল। কারণ পাবলিক শৌচালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ হলে তা শুধু পরিবেশ রক্ষাই নয়, নাগরিকদের সুস্বাস্থ্যেরও নিশ্চয়তা দেয়।