কসবার ডিআই অফিসে গিয়ে চাকরিহারারা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তার জেরে তাঁদের উপর নেমে এসেছিল পুলিশের লাঠিচার্জ। এমনকী পেটে লাথি মারা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। আর এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি–সিপিএম রে রে করে রাস্তায় নেমে পড়েছে। চাকরিহারাদের পাশে থাকতে গিয়ে আন্দোলনের রাশ নিজেদের হাতে নিতে চাইছে এই দুই বিরোধী দল। তবে গতকালই কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়ে ছিলেন, একপ্রকার বাধ্য হয়েই চাকরিহারাদের উপর ‘সামান্য বলপ্রয়োগ’ করতে হয়েছিল পুলিশকে। এবার নিরস্ত্র উর্দিধারীদের গায়ে হাত তোলা হয়েছিল বলে আজ, বৃহস্পতিবার ‘প্রমাণ’ সামনে আনল তৃণমূল কংগ্রেস।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীরা। তাঁদের পাশে থাকতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে ছিলেন, নিজের প্রাণ থাকতে যোগ্যদের চাকরি যেতে দেব না। তাঁদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করতে যেতে বলেছিলেন। এমনকী চাকরিহারাদের সকলের জন্য বেতনের পোর্টাল খুলে দেন। কিন্তু তারপরও আন্দোলনের পথ থেকে সরছেন না চাকরিহারাদের একাংশ। কসবার ডিআই অফিসে ‘চড়াও’ হওয়া থেকে শুরু করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং নিরস্ত্র পুলিশদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কুণাল ঘোষ এই অভিযোগ তুলে ভিডিয়ো পোস্ট করেন এক্স হ্যান্ডেলে। যেখানে দেখা গিয়েছে, এক পুলিশ কর্মীর পোশাকের কলার ধরে টানছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। তাঁর গায়ে হাতও তোলা হয়।
আরও পড়ুন: চাকরিহারা শিক্ষকদের উপর কেন ‘লাথি মারা’ হয়েছে? ডিসি’র ব্যাখ্যা তলব করল লালবাজার
মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। পৃথক টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন। চাকরিহারারা যাতে চাকরি ফিরে পান তার জন্য পাঁচটি দুঁদে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন। কিন্তু তারপরও হিংসা নেমে এসেছে। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘কসবায় চাকরি চাইতে এটা কি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন? পুলিশকে বিনা প্ররোচনায় মার শান্তিপূর্ণ? চাকরির এই জটিলতার সঙ্গে ডিআই অফিসে হামলার সম্পর্ক কী? কেন ‘নিরস্ত্র’ পুলিশের উপর হামলার ছবি প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না? গল্প ভেস্তে যাওয়ার ভয়ে?’