এখানে ঢুকতেই কোথায় যাওয়া হচ্ছে, কী উদ্দেশ্য, সব জিজ্ঞাসা করে ছাড়া হচ্ছে গাড়ি। ওই রাস্তায় খুঁটির সঙ্গে লাগানো হয়েছে ক্যামেরাগুলি। সাদা সেন্সর বক্সের বৈদ্যুতিক যন্ত্র। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গাড়ি গেলে প্রশ্ন করা হচ্ছে। তবে এই নিয়ে কেউ কিছু বলতে চাইছেন না। নিরাপত্তারক্ষীরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবার সেটাই বাস্তবায়িত হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের চারিদিকে বসল অত্যাধুনিক ক্যামেরা। প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা খরচ করে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা গড়ে তোলা হয়েছে। নজরদারির সমস্ত তথ্য জানান দেবে যন্ত্র। এখানের গলিতে রাতপাহারায় থাকা রক্ষীদের কাছে কোনও অস্ত্র থাকে না। তাই এই অত্যাধুনিক ব্যবস্থা করা হল। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এক যুবক লোহার রড নিয়ে ঘাপটি মেরে সারারাত কাটিয়েছিল। এমন ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে ‘ডিরেক্টরেট অব সিকিয়োরিটি’ এবং কলকাতা পুলিশের কর্তারা। কড়া নজরদারি চালাতেই জরুরি একটি কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা লাগানোর কাজ। এই এলাকায় নিরাপত্তার একাধিক পদক্ষেপে পিআইডিএস বা ‘পেরিমিটার ইন্ট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম’ বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। এবার এখানে কেউ আসার অনেক আগেই দূর থেকে সেই ব্যক্তির ছবি ধরা পড়ে যাবে।