অন্য়ান্য দিনের মতোই বুধবার (৪ জুন, ২০২৫) রাতেও নিজের কাজ করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মী গৌর সর্দার। মহেশতলা থানা এলাকায় ট্রাফিক সামলাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই এক জায়গায় গন্ডগোল চোখে পড়ে। গৌর দেখেন, এক টোটোচালকের সঙ্গে উচ্চস্বরে বিবাদ করছেন এক ব্যক্তি। ঝগড়া থামাতে এগিয়ে যান গৌর। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানতে চান, কী হয়েছে? কেন টোটোচালক ও ওই ব্যক্তি এভাবে রাস্তার মাঝে চিৎকার, চেঁচামিচি করছেন?
অভিযোগ, শুধুমাত্র এটুকু জানতে চাওয়াতেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গৌরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন! তাঁকে মারধর করেন। এমনকী, কর্তব্যরত ওই পুলিশকর্মীকে গালিগালাজও করেন তিনি। এরপর ট্রাফিক পুলিশের স্থানীয় কিয়স্কে ঢুকে ভাঙচুর করেন। ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাত ৮টা নাগাদ, মহেশতলা থানার অন্তর্গত ডাকঘর মোড় এলাকায়।
তবে, এত কিছু কাণ্ডের পর স্থানীয় বাসিন্দা এবং আশপাশের পথচলতি লোকজনই ওই ট্রাফিক পুলিশকর্মীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। তাঁরা হামলাকারীকে আটকে রাখেন। পরে মহেশতলা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জেরা করছে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে, কেন তিনি এভাবে একজন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর উপর হামলা চালালেন? কেনই বা পুলিশ কিয়স্কে ভাঙচুর চালালেন?
এদিকে, সূত্রের দাবি, এই ঘটনায় অনেকেই নাকি 'কেষ্ট-কাণ্ডের ছায়া' দেখতে পাচ্ছেন। বীরভূমের বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ কাটতে চললেও পুলিশের তরফে কেষ্টর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি।
এতে নাকি নিচুতলার পুলিশকর্মীদের একাংশ আশঙ্কা করছেন, এই ধরনের ঘটনায় অন্য অনেকে পুলিশের সঙ্গে অনুরূপ আচরণ করার সাহস পাবে! যা কিনা কখনই কাম্য নয়। মহেশতলার ঘটনায় সেই আশঙ্কাই সত্যি হল বলে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ মনে করছে।