
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
অ্যাসোসিয়েশনে অফ বিলিয়ন মাইন্ডস- বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নামটা নিতেই ওই উপদেষ্টা এজেন্সি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হচ্ছে। বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারেন, তাই একই এপিক কার্ডে (ভোটার কার্ড) বাইরের লোকের নাম তোলা হচ্ছে। বাইরে থেকে লোকজন এসে পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিয়ে যাবেন। আর ভোটার তালিকায় কারচুপির ক্ষেত্রে একশ্রেণির ডেটা অপারেটরদের হাত আছে বলে দাবি করেন মমতা। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় প্রশাসনিক কর্তাদের গাফিলতি আছে। আর পুরোটার নেপথ্যে 'অ্যাসোসিয়েশন অফ বিলিয়ন মাইন্ডস' (এবিএম) এবং সেটার অধীনস্থ ‘ইন্ডিয়া ৩৬০ ডিগ্রি’ আছে বলে দাবি করেছেন মমতা।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার কথায়, ‘বিজেপির ৫০টি এজেন্সি থাকলে তৃণমূলের তো একটা থাকবে। যারা মাঠে-ময়দানে নেমে সমীক্ষা করবে। ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। নাহলে ভোট করানোর কোনও প্রয়োজন হবে না। যেখানে যেখানে অনলাইনে এরকম হয়েছে, সেটা একটা এজেন্সিকে দিয়ে করানো হয়েছে।’ তারপরই এবিএম ও ‘ইন্ডিয়া ৩৬০ ডিগ্রি’-র নাম করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আর মমতা যে এজেন্সির নাম করেছেন, তা রাজনৈতিক ময়দানে একেবারেই নতুন নয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে ওই এজেন্সির নাম বেশি করে শোনা গিয়েছিল। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যে প্রচার-পর্ব চালিয়েছিল, তাতে এবিএমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ওই উপদেষ্টা সংস্থার কর্মীরা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে একেবারে নির্দিষ্ট ভোটারদের ‘টার্গেট’ করেছিলেন। একেবারে খুঁটিয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করা হত।
কীভাবে সেই কাজটা করা হত, তা ব্যাখ্যা করেছিলেন এবিএমের এক আধিকারিক। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাম গোপন রাখার শর্তে এবিএমের এক কর্তা বলেছিলেন যে কেন্দ্রীয় সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তা কারা, সেটার তালিকা ছিল বিজেপির কাছে। এরকম তথ্য রাখার ক্ষেত্রে বিজেপি অত্যন্ত দক্ষ। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৫,০০০ জনের মতো তথ্য থাকত। যে তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আসত।
আরও পড়ুন: আইপ্যাকের কথাতেই উঠতে বসতে হবে তৃৃণমূল নেতাদের, স্পষ্ট করে দিলেন মমতা
শুধু তাই নয়, বছরছয়েক আগে (লোকসভা ভোটের পরপর) ওই এজেন্সির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান। ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি দাবি করেছিলেন যে সর্বাণী ফাউন্ডেশন নামে মহিলাদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা এনজিও ছিল। যেটার নাম পালটে করা হয়েছিল ‘অ্যাসোসিয়েশনে অফ বিলিয়ন মাইন্ডস’। ওই এজেন্সি নিয়ে তদন্ত করে দেখার দাবিও তুলেছিলেন ডেরেক।
তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ওই এজেন্সি নাকি বিজেপির হয়ে বিজ্ঞাপন দিত। আর নির্বাচনের খাতে বিজেপি যে অর্থ খরচ করা হয়েছে বলে দেখিয়ে থাকে, তাতে এবিএমকে দেওয়া টাকার উল্লেখও থাকে না। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছিলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের তথ্য ব্যবহার করা হত, সেটা আদতে ডেটার অপব্যবহার ছিল।
যদিও বিষয়টি সরকারিভাবে স্বীকার করা হয়নি। ২০১৮ সালে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে'তে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য দাবি করেছিলেন যে তিনি অ্যাসোসিয়েশনে অফ বিলিয়ন মাইন্ডসের বিষয়ে জানেন না। যে সংস্থার ওয়েবসাইটে লেখা আছে, তারা ওয়েবসাইট ডিজাইনিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের মতো কাজ করে। তাছাড়াও রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করে বলে এজেন্সির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports