বামেদের ব্রিগেড। শ্রমিক, কৃষক মেহনতী মানুষের ব্রিগেড। কিছু দিন আগেই ডানকুনিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন হয়েছে। সেখানেও দেখা গিয়েছিল ছোট মাঠ ভরে গিয়েছিল কানায় কানায়। তবে এবার ব্রিগেডের বড় মাঠ। সেই মাঠ ভরানো বামেদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
বাম জমানায় সিপিএমের পোড়খাওয়া নেতা বলে পরিচিত একাধিক পরিচিত মুখ হাজির হয়েছেন ব্রিগেডে। বামেদের ব্রিগেড নিয়ে কী বললেন অধীর চৌধুরী।
বামেদের ব্রিগেডের আগে সেই ব্রিগেডের কার্যত সাফল্য কামনা করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ওদের সঙ্গে রাজনৈতিক ও মতাদর্শের দিক থেকে অনেক বিরোধ থাকতে পারে। বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এখনও বুকে গুলির দাগ আছে। জেল খেটেছি। কিন্তু এটাও বলতে হবে ওরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। আমি চাইব এই সমাবেশ সফল হোক।
একসময় বাম ও কংগ্রেসের মধ্য়ে ছিল কার্যত আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক। পরবর্তীতে সেই বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে হাত ধরাধরির চিত্র ধরা পড়ে। জোট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্যোগ নিয়েছিল বাম কংগ্রেস। কিন্তু তা কতটা সফল হয়েছে তা নিয়ে চর্চা চলে এখনও। তবে এবার বামেদের ব্রিগেড সফল করার আহ্বান জানালেন অধীর চৌধুরীও।
এবার বামেদের ব্রিগেডে বক্তা হিসাবে রয়েছেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, অমল হালদার, নিরাপদ সর্দার, বন্যা টুডু, সুখরঞ্জন দে ও অনাদি সাহু সহ অন্যান্যরা। কার্যত সমাজের পিছিয়ে পড়া, নির্যাতিত মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন যারা একট সময় সেই মুখকেই ফের ব্রিগেডের সভায় হাজির করল সিপিএম।
ভোট এখনও অনেক দেরিতে। শাসকদলের নেতৃত্ব বামেদের এই ব্রিগেডকে নানাভাবে কটাক্ষ করছেন। তার পালটা জবাবও দিয়েছেন বামেরা।
এপ্রিলের কাঠফাটা গরম। রোদ মাথায় নিয়ে ব্রিগেডে মিটিং শুনছেন খেটে খাওয়া মানুষ।। তার মধ্যে লালে লাল ব্রিগেড। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে একের পর এক মিছিল এসেছে ব্রিগেডে। ট্রেনে, বাসে করে এসেছেন কলকাতায়। বক্তারা একের পর এক জ্বালাময়ী ভাষণে তুলে ধরছেন বামেদের অতীত সাফল্যের কথা। তার সঙ্গেই তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করছেন তারা।
তবে তৃণমূল বামেদের ব্রিগেডকে কটাক্ষ করলেও অধীর অবশ্য় বামেদেরকে সাম্প্রদায়িক বলতে রাজি নন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওরা অবশ্য় ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না।
আর বামেদের ব্রিগেডের সাফল্য কামনা করেছেন আইএসএফ নেতা নৌশাদ সিদ্দিকিও।