ভুলবশত পাকিস্তানের দিকে চলে গিয়েছিলেন এক বিএসএফ জওয়ান। এরপরই তাঁকে আটকে রাখে পাকিস্তানি রেঞ্জার্স। তারপর ভারতের তরফে যোগাযোগ করা হয় পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু এখনও সেই বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ ফিরে আসতে পারেননি ভারতে। তবে তাকে ছাড়িয়ে আনার জন্য সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছে দেশ। ওই বাঙালি জওয়ান যাতে ফিরে আসেন দেশে তার জন্য প্রার্থনা করছেন অনেকেই।
এবার পাঠানকোট রওনা হলেন ওই বিএসএফ জওয়ানের পরিবার। শেষবার কুম্ভমেলার ডিউটি করে বাড়ি ফিরেছিলেন ওই জওয়ান। তখন ছেলের জন্য তিনি খেলনা কিনে এনেছিলেন। ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বাবার সঙ্গে কথা হত। কিন্তু দেখা হত না। বাবা দেশরক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। পরিবারের জন্য় তাঁর সময় নেই। এমনকী যেদিন পাক রেঞ্জাসের হাতে আটক হয়েছিলেন বাবা তার আগের রাতেও ছেলের সঙ্গে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে কথা হয়েছিল ওই জওয়ানের।
আর ছোট্ট আরব খুব মিস করছে বাবাকে। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সে। পাকিস্তানের হাতে আটক রয়েছেন বাবা। বাবা আর ফোন করেন না। কিছুদিন আগেও বাবা রাত করে ফোন করলেও ঘুম থেকে উঠে একবার বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলত ছোট্ট আরব।
সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছে আরব। সে বলে, মহাদেবের কাছে বললাম বাবাকে ফিরিয়ে দাও। বাবা যেন ফিরে আসে। বাবা আমার জন্য গতবার খেলনা এনেছিল। মহাদেবের কাছে বললাম বাবাকে ফিরিয়ে দাও। বার বার বলছি পাকিস্তান আমার বাবাকে ছেড়ে দাও। আর তো কিছু তোমাদের কাছে চাইছি না। আমার বাবাকে আমি চাই। আমার বাবাকে আমি চাই। বার বার বলতে থাকে আরব।
আসলে আরবের বাবাকে আটকে রেখেছে পাকিস্তান। দেশ রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। সেই বীর জওয়ানকে আটকে রেখেছে পাকিস্তান। এটা কিছুতেই মানতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।
আরব বলে, বাবাকে আনতে যাচ্ছি। বাবাকে পাকিস্তান আটকে রেখেছে। বাবার জন্য খুব মন খারাপ হচ্ছে। বাবা ভিডিয়ো কল করত। বলত ভালো করে থাকবি। কিন্তু পাকিস্তান আমার বাবাকে কিডন্যাপ করেছে।
পাকিস্তান থেকে ওই বিএসএফ জওয়ানকে ছাড়িয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বিএসএফ। নানা স্তরে আলোচনা হচ্ছে। ওই বিএসএফ জওয়ান যাতে নিরাপদে ফিরে আসে তার সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাংলার ওই জওয়ান যাতে নিরাপদে ফিরে আসেন সেটা চাইছেন সকলেই।