দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছে। কিন্তু, তিনি এখনও দেশে ফিরছেন না। বস্তুত, তাঁর ফেরা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কোনও খবরই তাঁরা এখনও পর্যন্ত পাননি বলে দাবি করা হচ্ছে। আর, তাই চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি ভারতের বিএসএফ জওয়ান, বাংলার বাসিন্দা পূর্ণম কুমার সাউয়ের পরিবারের সদস্যদের।
কিন্তু, ইতিমধ্যেই তো বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে প্রতিনিধিরা এসেছিলেন পূর্ণমদের বাড়িতে। তাঁরা তো আশ্বাস দিয়েছেন, 'লড়কা জলদি আ জায়েগা' বলে। তাহলে? আসলে বিএসএফ হোক, কিংবা নেতা, মন্ত্রী - কোনও পক্ষেরই আশ্বাসে তেমন আর ভরসা করতে পারছেন না পূর্ণমের পরিবারের সদস্যরা। সেকথা নিজেরাই জানিয়েছেন তাঁরা।
টিভি নাইন বাংলা অনুসারে - এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পূর্ণমের বাবা ভোলানাথ সাউ বলেন, 'আমার ছেলের কোনও খবরই আসছে না। সবাই আসছেন, আশ্বাসও দিয়ে যাচ্ছেন। সবাই বলছেন, ছেলে ভালো আছে, ছেলে আসবে, ব্যস এটাই। কিন্তু, সে তো পাকিস্তানের আন্ডারে। সেখানে সে কোথায় আছে, সেটা আর বলছে না। বিএসএফ-এর লোক এসেছিল। ওরাও আমাদের কিছু বলল না। শুধু বলল, আপনার ছেলে ভালো আছে। আমাদের কাছে সেই তথ্য আছে।'
বিএসএফ-এর এই আশ্বাসবাণী শুনে নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না পূর্ণমের স্ত্রী রজনীও। তিনি বর্তমানে গর্ভবতী। তাঁর এবং পূর্ণমের আরও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এই অবস্থায় সাউ পরিবারের সদস্যরা পাঠানকোট যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাতে আটক বিএসএফ জওয়ানের কিছু খোঁজ অন্তত পাওয়া যায়।
এই প্রসঙ্গে রজনী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা এখনও কেন্দ্র থেকে কোনও খবর পাইনি। স্যাররা বলছেন, কাজ চলছে। ওঁরা আমাকে সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছেন। আজ এতগুলো দিন হয়ে গেল, আর আস্থা রাখতে পারছি না। আমরা চারজন যাচ্ছি। আমার বাচ্চাও যাচ্ছে। চণ্ডীগড় যাব, সেখান থেকে ফিরোজপুর। যদি ফিরোজপুরে কাজ না হয়, তাহলে কাংড়া (হিমাচলপ্রদেশ) হেড অফিস যাব। সেখানেও না হলে দিল্লি হেড অফিস যাব। আমার মন মানছে না। সিইও স্যারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাইছি।'
উল্লেখ্য, গতকালই (রবিবার - ২৭ এপ্রিল, ২০২৫) পূর্ণম কুমার সাউয়ের হুগলির রিষড়ার বাড়িতে আসেন বিএসএফ-এর প্রতিনিধিরা। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে তাঁদের মধ্যে কথা হয়। তারপর বিএসএফ-এর প্রতিনিধিদল সেখান থেকে চলে যায়।