যাদবপুরে ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনায় এবার মুখ খুললেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক। পুকুরে পাঁচিল না দেওয়ার কারণেই এই ‘দুঃখজনক ঘটনা’ ঘটেছে বলে দাবি করে একভাবে কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করলেন দেবাঞ্জন দে। পুকুরে পাঁচিল না দেওয়ার পাশাপাশি যাদবপুরের ফান্ডিং কমে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘গোটা কর্তৃপক্ষই তো অস্থায়ী! উপাচার্য নেই, রেজিস্ট্রার অস্থায়ী, ফিনান্স অফিসার অস্থায়ী, ডিন অফ স্টুডেন্টস্ অস্থায়ী। কর্তৃপক্ষ এবং তা পরিচালনা করা সরকার কার্যত বিশ্ববিদ্যালয় পরিকাঠামোকে স্বাভাবিক মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।’
কী বলছেন SFI-এর রাজ্য সম্পাদক?
এই দিন পোস্টে দেবাঞ্জন লেখেন, ‘এসএফআই বারবার কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছে ক্যাম্পাস নিরাপত্তার পরিকাঠামো বাড়ানোর জন্য। ক্যাম্পাস নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সিসিটিভি ইত্যাদি ইন্সটলেশনের জন্য। ক্যাম্পাসে স্টুডেন্ট কনডাক্ট সম্পর্কিত রেগুলেশন নির্দিষ্ট করার জন্য। ক্যাম্পাসে নেশা বিরোধী ক্যাম্পেন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সংগঠিত করার জন্য। স্থায়ী সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করার জন্য। অথচ কোনোক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি।’
আরও পড়ুন - বীরভূমে খাদান ধসে মৃত্যু ৫ শ্রমিকের, নিরাপত্তা ছিল আদৌ? বেআইনি? কী বলছে পুলিশ
পাল্টা কী বলছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি
তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের দাবি সম্পূর্ণ উল্টো। তাঁর কথায়, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু গোষ্ঠী ঘুঁঘুর বাসা বেঁধে রেখেছে এবং হাই কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সিসিটিভি বসানো আটকে রেখেছে।’
আরও পড়ুন - ‘পলিটিক্যালি স্পনসর্ড!' প্রাক্তন সেনাকর্মীদের সভায় শুভেন্দু, সতর্কতা হাইকোটের