দিল্লিতে জোরকদমে চলছে আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা। আজ শুক্রবারই রয়েছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফোনে কথা হওয়ার কথা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিন ও ভারতের প্রতি মার্কিন শুল্ক চাপানো নিয়ে আমেরিকার হুঁশিয়ারি ঘিরে কড়া বার্তা উঠে এল রাশিয়ার থেকে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্জেই ল্যাভরভ খুললেন মুখ।
রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ভারত ও চিনের মতো ‘প্রাচীন সভ্যতা"র দেশ ’আল্টিমেটামের' কাছে মাথা নত করবে না। রাশিয়ার প্রধান চ্যানেল 1 টিভির 'দ্য গ্রেট গেম' অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়ার জ্বালানি ক্রয় বন্ধ করার মার্কিন 'দাবি' দেশগুলিকে কেবল 'নতুন জ্বালানি বাজার, নতুন সম্পদ অনুসন্ধান এবং আরও অর্থ খরচ' করতে বাধ্য করছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে মস্কো থেকে তেল কেনার জন্য আমেরকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের তীব্র সমালোচনা করে। তার মধ্যেই রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য এসেছে। ল্যাভরভ বলেন, 'চিন এবং ভারত উভয়ই প্রাচীন সভ্যতা, এবং তাদের সাথে এই ভাষা ব্যবহার করা, যে ‘হয় আমি যা পছন্দ করি না তা বন্ধ করো, নয়তো আমি তোমাদের উপর শুল্ক আরোপ করব, তা কাজ করবে না।’
ল্যাভরভ ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে বলেন যে এমন ধরণের কথাবার্তায় আমেরিকা ‘নৈতিক এবং রাজনৈতিক’ বিরোধীপক্ষ তৈরির রাস্তা বেছে নিচ্ছে। দিল্লি ও বেজিং-র পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন,' এটি সেই দেশগুলির অর্থনৈতিক সুস্থতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি, এটি অন্তত তাদের জন্য খুব গুরুতর অসুবিধা তৈরি করে, তাদের নতুন বাজার, জ্বালানি সরবরাহের নতুন উৎস খুঁজতে বাধ্য করে, (এবং) তাদের বেশি দাম দিতে বাধ্য করে। কিন্তু এর বাইরেও, এবং সম্ভবত এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, এই পদ্ধতির নৈতিক ও রাজনৈতিক বিরোধিতা রয়েছে।'
উল্লেখ্য, সদ্যউই ভারত ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে ইউকে-র বুক থেকে সুর নরম করে এক বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন,' আমি ভারতের খুব কাছের, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর খুব কাছের। আমি বিগত তাঁর সাথে কথা বলেছিলাম। আমি তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'
(এই প্রতিবেদন এআই জেনারেটেড )