অমিত শাহকে রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে কিছু কথা বলেন সাংসদরা। কিন্তু বিজেপির একটি সূত্রে খবর, সে কথা শাহ শোনেননি। বরং রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কী করা দরকার, কোন কাজ বাংলার সাংসদরা করেছেন তা জানতে চান। তাতে বিপাকে পড়ে যান সাংসদরা। কারণ বাংলার মানুষের জন্য তাঁরা কোনও কাজই করেননি। তবে করবেন বলে জানিয়েছেন।
অমিত শাহ।
একবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া গিয়েছে। বাংলা থেকে বেশ কিছু সাংসদ মিলেছে। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেটা সম্ভব হবে না। তাই অমিত শাহের দরবারে গিয়ে সিএএ চালু করার প্রস্তাব দিলেন বিজেপি সাংসদরা। শাহী বৈঠকে বাংলায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়। সেখানেই সিএএ চালু না করলে বিশাল মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক হাতছাড়া হবে বলে জানান সাংসদরা। তখন অর্ধেক মাস সময় অপেক্ষা করতে বলেন বঙ্গ সাংসদদের বলে সূত্রের খবর। আর তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এপ্রিল মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলা কি সিএএ চালু হবে?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বঙ্গ–বিজেপির সাংসদদের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েছিল। সেখানে অমিত শাহের সিএএ ভোকাল টনিকে উজ্জীবিত হয়েছে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। এই ঘটনার পরই তাঁরা মনে করছেন, একেবারে খালি হাতে ফিরতে হল না। কারণ দ্রুত সিএএ চালুর ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘বার্তা’ পেয়েছেন বলে দাবি বিজেপি সাংসদদের। আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার পর এখনও সিএএ প্রয়োগ হয়নি। তাই বাংলার বিজেপি সাংসদদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে তাঁরা শাহকে জানান। তখনই শাহী–আশ্বাসবাণী মেলে বলে খবর।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই আশ্বাসবাণীকে বিশ্বাস করে বুক বেঁধে বুধবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধরনায় বসছে বঙ্গ বিজেপি। এই কর্মসূচিতে শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদারের থাকার কথা। তাই আজ, বুধবার সকালের মধ্যে নয়াদিল্লি থেকে কলকাতার বিমান ধরার তোড়জোড় চলছে। এখন দেখার বিষয়, এই ধরনা মঞ্চ থেকে সিএএ নিয়ে সাংসদরা অথবা শুভেন্দু অধিকারী কিছু বলেন কিনা।