এবার রাজপথে অর্ধনগ্ন মিছিল বের করবেন যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা।
চাকরিহারাদের পক্ষে চিন্ময় মণ্ডল জানিয়েছেন এক শিক্ষকের মৃত্যু সংবাদের কথাও। তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই শিক্ষক দুশ্চিন্তার মধ্য়ে ছিলেন। তিনি জিয়াগঞ্জের একজন শিক্ষক। ইংরেজির শিক্ষক। তিনি পরলোকগমন করেছেন। তিনি আমাদের একজন সহযোদ্ধা ছিলেন। তিনি অবশ্যই রোগে ভুগছিলেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তিনি দুশ্চিন্তার মধ্য়ে ছিলেন। প্যানেলটা বাতিল হয়েছে ও দুর্নীতির কারণে চাকরিটা গিয়েছে। তিনি আর সহ্য করতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা এটা জানাতে পারি যে মুখ্য়মন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে দুদিন আগে ঘোষণা করেছেন যে নতুন পরীক্ষা হবে। … একজন রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী জানেন যে কত বড় দুর্নীতি হয়েছে যার জন্য় আমাদের রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে। ঘুমোতে হচ্ছে। কোর্টের দরজা খটখট করতে হচ্ছে । …আইনি লড়াইয়ের মাধ্য়মে পরীক্ষা না দিয়ে কীভাবে যোগ্যদের পুনরায় বহাল করা যায় এই ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। ১০ বছর পরে এসে সেই মানসিক অবস্থা থাকে না যে স্কুলের বাচ্চাদের পড়ানোর বিষয়বস্তু একরকম আর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার বিষয়বস্তু অন্যরকম। সেটা সবাই পারবে এমনটা নয়। কারোর বয়স হয়েছে। কেউ হার্টের রোগে আক্রান্ত। অনেকে আছে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত। তারা কীভাবে পরীক্ষা দেবেন! তাঁরা যদি পরীক্ষার দিন হাজির থাকতে না পারেন তাহলে চাকরির কী হবে? তার দায় কে নেবে! আমরা দেখতে পাচ্ছি মুখ্য়মন্ত্রী বলছেন যারা চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবে না, যাদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তাদের অন্য বিভাগে চাকরি দেওয়া হবে। যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের নিশ্চয়তা এল। আর আমরা যারা যোগ্য আমরা অনিশ্চয়তার অন্ধকারে থাকলাম। এমন এক রাজ্যে বাস করছি যেখানে টাকা দিয়ে চাকরিপাওয়াদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সহৃদয় হয়ে যাচ্ছেন আর যারা যোগ্য ২৪০ টাকা দিয়ে ফর্ম ফিল আপ করেছিলাম বলে অনিশ্চয়তার অন্ধকারেই রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা এর বিরুদ্ধে কাল ৩০ শে মে শিয়ালদা থেকে মহামিছিল করব। দাবি থাকবে নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ। পরীক্ষায় বসা নয়, পরীক্ষা ছাড়া যোগ্য যারা তাদের চাকরিতে পুনরায় বহাল করা যায় তার জন্য মাননীয়া মুখ্য়মন্ত্রী কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, কমিশন নেবে, রাজ্য সরকার নেবে, কালকের মিছিল হবে অর্ধনগ্ন মিছিল। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা অর্ধনগ্ন অবস্থায় মিছিল করবেন। তার একটাই কারণ সরকারের দুর্নীতি, কমিশনের দুর্নীতি, এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে, যোগ্য চাকরিহারাদের আজকে নগ্ন করে ছেড়ে দিয়েছে। ন্যায্য বিচার পাইনি। একজনও যদি বঞ্চিত হয় তবে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব। হুঁশিয়ারি চাকরিহারা শিক্ষকের।