একটি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, অন্যটি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। এই দু’টি মামলায় এখনও তদন্ত চলছে। ইডির এক আধিকারিক ইঙ্গিত দিয়েছেন, তদন্তের প্রয়োজনে তাঁরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেল হেফাজত থেকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে সম্প্রতি আদালতের বেশ কিছু নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর জেল থেকে বেরোনোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় পার্থর জেলমুক্তি রুখতে আরও তৎপর হয়েছে ইডি। এবার তাঁর জেলমুক্তি আটকে দিতে ‘দুই মামলার অস্ত্র’ সামনে আনছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমবার গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অন্তত আটটি মামলা দায়ের হয়। চলতি বছরের শুরুতে প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান। কিছুদিন আগে আবার সিবিআইয়ের গ্রুপ সি মামলায়ও সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। সম্প্রতি সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে এই দুই মামলায়ও তিনি জামিন পান। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন এখন হাই কোর্টে বিচারাধীন।
এদিকে, ইডির হাতে বর্তমানে দু’টি বড় মামলা রয়েছে। একটি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা, অন্যটি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। এই দু’টি মামলায় এখনও তদন্ত চলছে। ইডির এক আধিকারিক ইঙ্গিত দিয়েছেন, তদন্তের প্রয়োজনে তাঁরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেল হেফাজত থেকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারেন। এরপর তাঁকে ফের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করা হবে। এর ফলে অন্য মামলায় জামিন পেলেও কার্যত জেল থেকে বেরোনোর সুযোগ কমে যাবে।