আলিপুর চিড়িয়াখানার ইউনিয়ন কার দখলে থাকবে এটা নিয়েই বিবাদ। বিজেপি ও তৃণমূল দুপক্ষই ইউনিয়ন রুমের দাবিদার। এদিকে এর জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এনিয়ে এবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে তার আগে প্রেক্ষাপটটা একটু জেনে নেওয়া যাক। গত ২৪শে জানুয়ারি ইউনিয়ন রুম দখল করা নিয়ে প্রায় ৫০০ লোকজন চিড়িয়াখানার দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ইউনিয়ন রুমের দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। বহিরাগত তৃণমূলকর্মীরা এই কাণ্ড ঘটান বলে অভিযোগ। এনিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি ইউনিয়নের নেতা রাকেশ সিংহ। তার জেরেই নির্দেশ আদালতের। তবে চিড়িয়াখানার পশুদের প্রসঙ্গে বিচারপতি জানিয়েছেন, পশুদের কিছু হলে কাউকে ছাড়া হবে না।
আদালত জানিয়েছে, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ এনিয়ে কোনও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। প্রকৃত ইউনিয়নের অধিকারীরাই যাতে রুম পান সেটা দেখার জন্য জানিয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ। পাশাপাশি এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট নিম্ন আদালতে জমার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, এখন ভারতবর্ষে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা কখন কোন দলে আছেন, কতদিন আছেন সেটা বলা খুব কঠিন।
শুনানি পর্বে উভয়ই ইউনিয়ন রুমের দাবি জানান। মামলাকারী রাকেশ সিংহের আইনজীবীর দাবি, পুরানো ইউনিয়নের দখলেই রুম ছিল। জোর করে সেখান থেকে সরানো চেষ্টা হচ্ছে। এদিকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একই ব্যক্তিরা ইউনিয়ন রুমে আছেন শুধু পতাকার পরিবর্তন হয়েছে।