ডিএলএড পরীক্ষা ও প্রাথমিক টেটকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভুয়ো প্রার্থীর প্রবেশ রুখতে বা নজরদারির ঘাটতি এড়াতে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এবার আনা হচ্ছে একের পর এক আধুনিক প্রযুক্তি।
আরও পড়ুন: 'ঋতুস্রাব হয়েছিল,তাও…', পরীক্ষার্থীর অন্তর্বাস খুলিয়ে টর্চ জ্বেলে চেকিং গাইঘাটায়
জানা যাচ্ছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখেই প্রার্থীদের জন্য থাকছে বায়োমেট্রিক স্ক্যানার। পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য থাকবে হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর ও বিশেষ ধরনের ‘সেশনাল ইনিশিয়েশন প্রোটোকল’ ফোন। প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র পরিবহণেও থাকছে প্রযুক্তির নজরদারি। নিরাপত্তার অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে থাকছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-চালিত সিসিটিভি ক্যামেরা। এই ক্যামেরাগুলি শুধু পরীক্ষার্থীদের নয়, পরিদর্শকদের গতিবিধিও খতিয়ে দেখবে। কেউ দীর্ঘক্ষণ দায়িত্বে গাফিলতি করলে সরাসরি অ্যালার্ট পাঠাবে পর্ষদকে। প্রশ্নপত্র পরিবহণে ব্যবহৃত গাড়িগুলিতে থাকবে জিপিএস ট্র্যাকিং। গাড়ি চলার প্রতিটি মুহূর্তের আপডেট পাবে পর্ষদ। এমনকি গাড়ির দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সংকেত পৌঁছবে নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণকক্ষে। থাকবে ‘মাস্টার কি’ সহ বিশেষ তালা।
পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় তথ্য আদানপ্রদানে ব্যবহৃত হবে নির্দিষ্ট ধরনের ফোন। উল্লেখ্য, আগামী দু’মাসের মধ্যে ডিএলএডের প্রথম ও দ্বিতীয় সেমেস্টার পরীক্ষা রয়েছে। এই পরীক্ষা থেকেই নতুন ব্যবস্থাগুলি চালু হবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।