আজ, শুক্রবার বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘভাতার দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের যৌথমঞ্চ। সেখানে ডিএ সরকারি কর্মচারীদের অধিকার নয় বলে জানালেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অরুণাভ ঘোষ। আর এই মন্তব্য নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ তাঁর কথায়, ‘সরকার মনে করলে ডিএ দেবে, না মনে করলে দেবে না। সরকারি কর্মচারীরা ডিএ’র জন্য জোরাজুরি করতে পারেন না।’ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এই কথা আগে বলেছেন। তখন প্রধান বিরোধী দল বিজেপি রে রে করে উঠেছিল। কিন্তু এবার একই কথা বলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ।
এদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সরকারি কর্মীদের অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করার বার্তা দিয়ে আবেদন করেছেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারি হারে মহার্ঘভাতা এবং বকেয়া অবিলম্বে মেটানোর দাবিতে আজ, শুক্রবার ধর্মঘট ডেকেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। এই পরিস্থিতিতে সরকারি অফিসে হাজিরা স্বাভাবিক রাখতে রাজ্য সরকার কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। নবান্নর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শুক্রবার উপযুক্ত কারণ ছাড়া অনুপস্থিত হলে বেতন কাটার পাশাপাশি কর্মজীবন থেকে একটি দিন বাদ দেওয়া হবে।
ঠিক কী বলেছেন অরুনাভ? বৃহস্পতিবার রাতে আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অরুণাভ ঘোষ এই আন্দোলনকে সমর্থন করেননি। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলায় ১৯৫৪ সালে বলেছে, মহার্ঘভাতা দিতে সরকার বাধ্য নয়। ২০১৭ সালেও একটি মামলায় সর্বোচ্চ আদালত একই কথা বলেছে। শীর্ষ আদালত বলেছে, কোনও রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডিএ দেওয়ার জন্য বাধ্য করা যায় না। ডিএ কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পড়ে না। সরকারের সামর্থ্য থাকলে দেবে, নয়তো দেবে না।’