জগদ্দলের রাহুতা এলাকা থেকে বাসুদেবপুর থানার পুলিশ এক পচাগলা দেহ উদ্ধার করেছে। নিহতের নাম সাহেব। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারও দেহ শনাক্ত করেছে। কিছুদিন আগে জগদ্দলে তৃণমূল কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত ছিলেন এই সাহেব। ফলে তাঁর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার অভিজ্ঞ আইনজীবীর রক্তাক্ত দেহ, চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাহেবকে জগদ্দলের তৃণমূল কর্মী হীরা কুরেশি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই হত্যাকাণ্ডের পরই সাহেব নিখোঁজ ছিলেন। চার দিন ধরে তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। এরপর শুক্রবার বিকালে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে রাহুতা এলাকার খালের মধ্যে থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সাহেবের মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠেছে, এটি কি খুনের প্রতিশোধমূলক ঘটনা, নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৫ সেপ্টেম্বর কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের কাছাকাছি ভাটপাড়ার মাংস ব্যবসায়ী হীরা কুরেশির দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই দেহ ছিল ক্ষতবিক্ষত। হত্যাকাণ্ডের সময় খবর পাওয়া গিয়েছিল, পুরনো শত্রুতার জেরে হীরাকে খুন করা হয়েছে। সেই ঘটনার সঙ্গে সাহেবের নাম জড়িত ছিল।
সাহেবের নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল। অবশেষে খাল থেকে দেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ এখন দুই ঘটনার মধ্যে সম্পর্ক খতিয়ে দেখছে। দুটি ঘটনা কি একই চক্রের কাজ, নাকি খুনের বদলা খুনের ঘটনা, তা যাচাই চলছে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই দুজনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন এবং ঘটনার সংযুক্ত তথ্য সংগ্রহ করছেন। বাসুদেবপুর থানার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে নিহতের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করা হবে। পাশাপাশি, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।