পুজোর মুখে কলকাতার রাস্তাঘাট ঠিকঠাক রাখতে সরেজমিনে ঘুরে দেখলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার বিকেলে একাধিক এলাকায় যান তিনি। সেখানে নাগরিকদের কাছ থেকে সরাসরি অভিযোগ শোনার পরই সঙ্গে থাকা আধিকারিকদের তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতির নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের সমালোচনা মানেই সমাজবিরোধী, বিতর্কিত মন্তব্য মেয়র ফিরহাদ হাকিমের
প্রথম ধাপে মেয়র ঘুরে দেখেন সংযুক্ত এলাকার বেশ কিছু ওয়ার্ড বেহালা, যাদবপুর, হরিদেবপুর, আনন্দপুর, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজসহ একাধিক রাস্তা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুর কমিশনার ধবল জৈন-সহ বিভিন্ন দফতরের শীর্ষকর্তারা। এদিন পথেই মেয়র বলেন, কলকাতা নাগরিকদের শহর। তাই তাঁদের কথা শুনতেই রাস্তায় নেমেছেন। এবার নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় জল জমে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। পুজোর আগে শহরের রাস্তা যথেষ্ট ভালো অবস্থায় আনা হয়েছে। পুজোর আগে দ্রুত সংস্কারের জন্য বেশ কিছু জায়গায় পেভার ব্লক দিয়ে গর্ত বুজিয়ে পরে কংক্রিটের কাজ করা হচ্ছে। এর ফলে টানা বৃষ্টিতেও রাস্তার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে বলে জানান তিনি।
মেয়র এদিন বেহালা থেকে শুরু করে জেমস লং সরণি, শখের বাজার, মতিলাল গুপ্ত রোড, হরিদেবপুর, মহাত্মা গান্ধী রোডসহ একাধিক এলাকা ঘুরে দেখেন। জানান, সংযুক্ত এলাকার প্রায় ১৩৫টি রাস্তা দেখে নিয়েছেন। ঠাকুরপুকুরের একটি অংশ বাদে বাকি সব ঠিকঠাক আছে। কেইআইপি এবং রোডস ডিপার্টমেন্ট দ্রুত মেরামতির কাজ করছে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ইএম বাইপাস থেকে সরকারি কনভয় ছেড়ে মেয়র নেমে পড়েন রাস্তায়। বিল্ডিং মোড় থেকে সিআইটি মোড় হয়ে হেমচন্দ্র নস্কর রোড, ফুলবাগান, উল্টোডাঙা, খান্না মোড় ঘুরে শ্যামবাজার পাঁচমাথায় গিয়ে থামেন। প্রতিটি জায়গায় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার খোঁজ নেন এবং আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। উত্তর কলকাতা থেকে তিনি সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণি, পার্ক সার্কাস, গড়িয়াহাট রোড, গোলপার্ক, সাদার্ন অ্যাভিনিউ ঘুরে হাজরা মোড়ে শেষ করেন দিনের পরিদর্শন। মেয়রের কথায়, পুরো বছরই কলকাতার রাস্তাগুলি ভালো রাখার চেষ্টা করা হয়। তবে পুজোর আগে বাড়তি নজরদারি হচ্ছে। যাতে পুজোর সময় ভিড়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে কেউ সমস্যায় না পড়েন। তবুও পুরসভা সবসময় সতর্ক থাকবে।