ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, গোপন জবানবন্দির অভিযোগগুলিকে গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত এগোতে হবে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাঁদের জেরা অপরিহার্য। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ময়নাতদন্তের সময়কার সিসিটিভি ফুটেজ ও উপস্থিতদের তালিকা সংগ্রহ করতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্ট
আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় সারা রাজ্যে আলোড়ন পড়লেও, তার বছরখানেক আগেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে এক ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ, সহপাঠীদের হাতে শারীরিক লাঞ্ছনা, সেই ঘটনার ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেল এবং শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত বর্ষের ওই ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। প্রায় দু’বছর পরে ফের সেই মৃত্যুকে ঘিরে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। (আরও পড়ুন: 'SSC-র কাছে অযোগ্যদের তালিকা থাকলে যোগ্য শিক্ষকদের কেন পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে?')
শুক্রবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ময়নাতদন্ত চলাকালীন কারা উপস্থিত ছিলেন তা চিহ্নিত করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে হবে। উপস্থিতদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার কথাও বলা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, আপাতত তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে সে দিকেও নজর দেওয়া হবে।
২০২৩ সালের ৩০ জুন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ওই ছাত্রী বহরমপুর শহরে দাদু-দিদিমার বাড়িতে গিয়ে গভীর রাতে ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে স্থানীয় থানার রিপোর্টে উল্লেখ ছিল। কিন্তু পরদিনই পাঞ্জাব পুলিশের কর্মরত বাবা-মা অভিযোগ করেন, মেয়েকে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছিল, সেই ঘটনার ছবি ও ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল। তাঁদের দাবি, চাপ সহ্য করতে না পেরে মেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রাণ দিয়েছে।