ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে অবশেষে রাজভবনের গেটের সামনে ধর্নার অনুমতি পেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা শর্তসাপেক্ষে শুভেন্দুদের ৪ ঘণ্টার ধর্নার বসার নুমতি দিয়েছেন। একইসঙ্গে নির্দেশে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে কোনও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা যাবে না। তাছাড়া, ৩০০ জনের বেশি এই ধর্নায় কোনওভাবেই যোগ দিতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ‘আরামবাগ কেন্দ্রে ভোটে কারচুপি করা হয়েছে’, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রতিবাদের জন্য রাজভবনের সামনে ধর্না করতে চেয়ে প্রথমে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু, পুলিশের তরফ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা থাকে তাই রাজ্যপালের নিরাপত্তার কারণে বিজেপির এই কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। তা নিয়ে সেই সময় শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও এনিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছিলেন। পরে ধর্নায় অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আদালতে শুভেন্দু পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল, যে ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে রাজভবনের সামনেই গত বছর তৃণমূল একই জায়গায় পাঁচদিনের ধর্নায় বসেছিল। শাসক দল যদি ধর্নায় বসতে পারে তাহলে কেন বিরোধীরা পারবে না। তবে আদালত জানিয়েছিল, যেএকই জায়গায় যে বসতে হবে তার কোনও মানে নেই। তাদের বিকল্প জায়গা খুঁজতে বলেছিল আদালত। তখন বিজেপির তরফে জানানো হয়, তারা রাজ্য পুলিশের ডিজির কার্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসতে চান। তাতে আপত্তি জানিয়ে পরে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, রাজভবনের সামনে ধর্নায় কোনও আপত্তি নেই।
এনিয়ে রাজ্যকে দিনক্ষণ ঠিক করে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি। এরপর রাজ্য জানায় গত রবিবার ধর্নার দিন ঠিক করেছিল। তবে ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের জন্য তাতে সম্মতি দেয়নি তারা। এরপর রাজ্যের কাছে বিকল্প দিন জানতে চান বিচারপতি। অবশেষে ১৪ জুলাইয়ের দিন প্রস্তাব দেয় রাজ্য। রাজ্যের আইনজীবী জানান, ওই দিন সকাল ১০ টা থেকে শুভেন্দুরা যদি ৪ ঘণ্টায় ধর্নায় বসতে চান তাহলে আপত্তি নেই রাজ্যের। এই বক্তব্য মেনে নিয়ে আদালত শুভেন্দুদের ওই দিন ৪ ঘণ্টার ধর্নায় বসার অনুমতি দেয়। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে ধারণা কর্মসূচি করতে হবে। কোনও রকমের অশান্তির বরদাস্ত করা হবে। দূষণ বিধি মানতে হবে।