হাওড়ার বাঁধাঘাটে বৃদ্ধের খুনের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের হাতে ধৃত প্রসেনজিৎ চৌধুরীর স্বীকারোক্তি এবং প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত মিলছে, সমকামী সম্পর্কের জটিলতা থেকেই ঘটেছে এই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: নয়ডায় গৃহবধূকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় এবার গ্রেফতার শ্বশুর-দেওর
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত অসীম দে-র সঙ্গে প্রসেনজিতের আলাপ হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। চার মাস আগে শুরু হয় যোগাযোগ, যা ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে রূপ নেয়। প্রায় মাস খানেক চ্যাট চলার পর বাঁধাঘাটে সামনাসামনি দেখা করেন দু’জনে। এরপরেই শুরু হয় ভিডিয়ো কলে নিয়মিত কথা এবং অবশেষে অসীমের ফ্ল্যাটেই তৈরি হয় শারীরিক ঘনিষ্ঠতা। প্রসেনজিৎ উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বাসিন্দা, পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী। কাজের সূত্রে তিনি প্রায়ই হাওড়ায় যেতেন। সূত্রের দাবি, সম্পর্ক গভীর হওয়ার পর অসীম নিয়মিততা দাবি করতে শুরু করেন। এমনকি ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। এই চাপের কারণে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছিল প্রসেনজিতের। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রসেনজিৎ যান অসীমের ফ্ল্যাটে। কিছুক্ষণ খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা এবং শারীরিক সম্পর্কের পর উত্তেজনা চরমে ওঠে। অভিযোগ, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে অসীমের আচরণে প্রসেনজিতের গোপনাঙ্গে ক্ষত তৈরি হয়। এরপর রাগের মাথায় বৃদ্ধকে ধাক্কা দেন তিনি। যদিও তাঁর দাবি, খুনের উদ্দেশ্য ছিল না, কিন্তু ধাক্কার জেরে অসীমের মৃত্যু ঘটে।