নেচার ইনডেক্সের পর এবার স্বাস্থ্য গবেষণাতেও নজির গড়ল কলকাতা। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। ওই তালিকায় জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য গবেষণায় এগিয়ে থাকা দেশের সেরা শহরগুলির বিষয়ে। সেই তালিকাতেই ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছে কলকাতা। অন্যান্য বেশ কিছু শহরকে পিছনে ফেলে দিয়ে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে কল্লোলিনী তিলোত্তমা। কিছুদিন আগে নেচার পত্রিকার তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সারা বিশ্বে গবেষণার নিরিখে এগিয়ে থাকা শহরগুলির একটি ক্রমভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করে নেচার ইনডেক্স। ওই তালিকায় ৮৪তম স্থান ছিল কলকাতার। যদিও ওই তালিকায় দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল তিলোত্তমা।
আরও পড়ুন - মাধ্যমিকের আগে পর্ষদের টেস্ট পেপার পেতে কেন এত দেরি হয়? জানা গেল কারণ
কলকাতা কোন স্থানে
সপ্তাহখানেক আগে প্রকাশিত ওই তালিকা সবধরনের গবেষণার নিরিখে বিচার করা হয়েছিল। সেই নিরিখে প্রথম স্থান অর্জন করলেও স্বাস্থ্য গবেষণার নিরিখে পিছিয়েই রয়েছে কলকাতা। সম্প্রতি মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রথমে রয়েছে রাজস্থান। তারপর রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিসার্চ ইউনিটের সংখ্যার নিরিখে বাংলা তথা কলকাতার স্থান গোটা দেশের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে।
আরও পড়ুন - ভাষা জন্ম দিয়েছিল এক আস্ত দেশকে, কেন বাংলাদেশে বাঁধল যুদ্ধ? ফিরে দেখা ইতিহাস
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান যা বলছে
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সোমবার একটি পরিসংখ্যান লোকসভায় পেশ করেন। সেখানে বলা হয়েছে, গোটা দেশে ১১৭টি মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিসার্চ ইউনিট (এমডিআরইউ) রয়েছে। সাধারণত একটি ডাক্তারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই বা তিনটি বিভাগ মিলিয়ে এমডিআরইউ তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাকেন্দ্র হতে হয় এই ইউনিটগুলিকে। এই ধরনের ইউনিট কলকাতা তথা বাংলায় রয়েছে মোট পাঁচটি। এর মধ্যে একটি কল্য়াণীতে। বাকি চারটি কলকাতায়। পিজি, এনআরএস, মেডিকেল ও আরজিকরে রয়েছে ইউনিটগুলি।
অন্যান্য রাজ্য কে কোথায়
অন্যদিকে একই সংখ্যক এমডিআরইউ রয়েছে ওড়িশায়। এছাড়ায়, মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় আন্তর্জাতিক মানের এমডিআরইউ রয়েছে ৭টি করে। অন্যদিকে কর্ণাটকে রয়েছে ৮টি এমডিআরইউ। রাজস্থানে মোট এমডিআরইউ-র সংখ্যা ১২টি। যে কারণে এই রাজ্য দেশের শীর্ষে। তবে পিছিয়েও রয়েছে বেশ কিছু রাজ্য। যেমন দিল্লির মতো রাজ্যে এমডিআরইউ-র সংখ্যা মাত্র ৪টি। এছাড়া, গুজরাটে মাত্র ২টি।