পানীয় জলের সংকটের মধ্যেই এবার পুরসভার সরবরাহ করা জলের পাউচের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠল শিলিগুড়িতে। শুক্রবার দেখা যায় শহরের আবর্জনা ফেলার গাড়িতে করে পরিবহন করা হচ্ছে পানীয় জলের পাউচ। যেখানে পাউচ তৈরি হচ্ছে সেখানকার হাল আরও খারাপ। কাদা জলের মধ্যে ভাসছে পাউচগুলি। শহরবাসীর অভিযোগ, পুরসভার তরফে যে পাউচ সরবরাহ করা হচ্ছে না রয়েছে তৈরির দিন, না রয়েছে ব্যবহার করার মেয়াদের উল্লেখ।
আরও পড়ুন - শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের ২০ দিন ধরে বিষ খাইয়েছে তৃণমূল, বিস্ফোরক দাবি শংকর ঘোষের
পড়তে থাকুন - BJP এলে সাসপেন্ড করব, শাহজাঁহার থেকেও খারাপ হাল হবে, পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
শিলিগুড়ির জলসংকট মোকাবিলায় জলের পাউচ বিলি শুরু করেছে পুরসভা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে পাউচ বিলি। আর পাউচ হাতে পেয়েই স্থানীয়রা প্রশ্ন তোলেন, পাউচে তৈরির তারিখের কোনও উল্লেখ নেই। কত দিনের মধ্যে পাউচ ব্যবহার করতে হবে নেই তারও উল্লেখ। ফলে মেয়াদ উত্তীর্ণ পাউচ শহরে বিলি হচ্ছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দারা।
শুক্রবার দেখা গেল আরও ভয়ঙ্কর ছবি, শহরের দক্ষিণ শান্তিনগরে একটি মাঠে খোলা আকাশের নীচে বসানো হয়েছে জলের পাউচ বানানোর ভ্রাম্যমান যন্ত্র। রাতভরের বৃষ্টিতে সেই মাঠ জল থই থই নোংরা জলের মধ্যে দাঁড়িয়েই পানীয় জলের পাউচ তৈরি করছেন পুরসভার কর্মীরা। সেই পাউচ গড়াগড়ি খাচ্ছে নোংরা জলের মধ্যে।
অপদার্থতার এখানেই শেষ নয়, শহরের বিভিন্ন যায়গায় জলের পাউচ সরবরাহ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরসভার আবর্জনা ফেলার গাড়ি। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই তাতে করেই শিলিগুড়ির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে অস্বাস্থ্যকরভাবে তৈরি লক্ষ লক্ষ জলের পাউচ।
আবর্জনা ফেলার গাড়ি কেন ব্যবহার করা হচ্ছে পানীয় জলের পাউচ পরিবহনে? প্রশ্নের মুখে পুরসভার এক কর্মী বলেন, ‘আমাদের যা বলেছে তাই করছি। কিছু জানার থাকলে হেড অফিসে যান।’ সাংবাদিকদের দেখে পালান বাকি কর্মীরা।
আরও পড়ুন - আগাম এলেন মেঘদূত, কেরলের সঙ্গে একই দিনে পশ্চিমবঙ্গেও ঢুকে পড়ল মৌসুমী বায়ু
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিধায়ক শংকর ঘোষ আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, পাউচে যে জল ভরা হচ্ছে তা পানযোগ্য কিনা তা কি পরীক্ষা করেছে পুরসভা? না কি দূষিত জলই পাউচে ভরা হচ্ছে। পাউচে কেন ব্যবহারের মেয়াদের উল্লেখ নেই তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।