প্রকাশ্যে পুলিশ প্রশাসনকে ফের অশালীন ভাষায় আক্রমণ। এবার এই অভিযোগ উঠল জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের বিরুদ্ধে। তাঁর মন্তব্য সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল উভয়ের তরফেই। অভিযোগ, রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানার রুপনগর গ্রামের বেলেদুর্গানগর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় পুলিশকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন: রাইফেল হাতে তৃণমূল বিধায়কের নাবালক নাতির ছবি ভাইরাল, তীব্র বিতর্ক আসানসোলে
এদিন সেখানে এক রাস্তার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন বিধায়ক। অভিযোগ, সেখানেই তিনি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কুরুচিকর ও অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করেন। তাঁর মন্তব্যের ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা) সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক তীব্র আকার ধারণ করে। বিষয়টি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সদস্য ও তৃণমূল নেতা খাঁন জিয়াউল হক। তিনি বলেন, এই ধরনের ভাষা কোনওভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করে না। একজন শিক্ষক এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে আরও সংযত ও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল তাঁর। পরিস্থিতি যেমনই হোক, এরকম ভাষার ব্যবহার একেবারেই অনভিপ্রেত।
এদিকে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উৎপল নস্কর বলেন, একজন শিক্ষক হয়ে প্রকাশ্যে এমন কুরুচিকর মন্তব্য শুধু লজ্জাজনক নয়, এটি শিক্ষাজগত ও রাজনীতির জন্যও অপমানজনক। তিনি যেন প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। তবে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস এখনও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।
সাধারণ মানুষও মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কেউ বলছেন, রাজনৈতিক চাপ ও এলাকার প্রশাসনিক পরিস্থিতি থেকে বীতশ্রদ্ধ হয়েই হয়তো এমন ভাষা বেরিয়ে এসেছে। আবার অনেকে মনে করছেন, জনপ্রতিনিধির মুখে এমন বক্তব্য মর্যাদাহানিকর এবং প্রশাসনিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী।