মালদা জেলায় ফের নৃশংস নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। এবার আদিবাসী এক মহিলাকে অসুস্থতার কারণ হিসাবে চিহ্নিত করে গলা টিপে খুন ও অর্ধনগ্ন করে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা পুরাতন মালদা ব্লকের একটি পঞ্চায়েতের।
আরও পড়ুন - আগাম এলেন মেঘদূত, কেরলের সঙ্গে একই দিনে পশ্চিমবঙ্গেও ঢুকে পড়ল মৌসুমী বায়ু
পড়তে থাকুন - শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের ২০ দিন ধরে বিষ খাইয়েছে তৃণমূল, বিস্ফোরক দাবি শংকর ঘোষের
আদিবাসী অধ্যুষিত ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরেই গ্রামের তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্যা নানা উপসর্গে ভুগছিলেন। ডাক্তার দেখিয়েও উপশম হয়নি। এর পর গ্রামেরই এক মহিলাকে তাঁর অসুস্থতার কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেন পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামী দিলীপ হাঁসদা। এই নিয়ে গ্রামে শালিসি বসে। সেখানে মহিলাকে অসুস্থার কারণ বলে দাবি করে গুণিনের কাছে নিয়ে যাওয়ার নিদান দেওয়া হয়। সেখানে গুণিন মহিলার ওপরে পাশবিক অত্যাচার করেন বলে অভিযোগ। তাঁর ২ কানে লোহার শিক ঢুকিয়ে খোঁচা দেওয়া হয়।
এর পর পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী দিলীপ হাঁসদা ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। পরদিন সকালে মহিলাকে অর্ধনগ্ন করে মারধর করেন দিলীপ হাঁসদা ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর এক প্রতিবেশী। লাগাতার নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। এর পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশীরা।
এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতার অভিযোগ তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামীর নামে মালদা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেন পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন - BJP এলে সাসপেন্ড করব, শাহজাঁহার থেকেও খারাপ হাল হবে, পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
বলে রাখি, গত বছর জুলাই মাসেও মালদায় বর্বর নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। ফেরিওয়ালা ২ মহিলাকে চুরির অপবাদে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় দোকানদারদের বিরুদ্ধে। মারতে মারতে ২ মহিলাকে থানায় নিয়ে যায় জনতা। এর পর আক্রান্ত মহিলাদের বিরুদ্ধেই থানা ভাঙচুরের অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। ঘটনায় সক্রিয় হয় জাতীয় মহিলা কমিশন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করে কমিশন।