রবিবার বন বিভাগের শীর্ষ আধিকারিক গাইড এবং জিপসি চালকদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় কোনও পর্যটক বিনা অনুমতিতে জিপসি থেকে নিচে নামতে পারবেন না, গাড়ির দরজা খোলা যাবে না, গণ্ডার দেখার সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাছাড়া বন্যপ্রাণীদের উত্ত্যক্ত করা যাবে না।
জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে পর্যটকদের গাড়িতে হামলার সেই দৃশ্য।
গত শনিবার হুডখোলা জিপে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য সাফারিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন পর্যটকরা। গন্ডারের তাড়ায় উলটে গিয়েছিল ওই জিপ। তার ফলে আহত হয়েছিলেন চারজন পর্যটক। সেই ঘটনার পরে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বন বিভাগ। এই ঘটনার পরে বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা লাগু করা হচ্ছে। তবে এখনই হুডখোলা জিপ বাতিল করা হচ্ছে না।
রবিবার বন বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা গাইড এবং জিপসি চালকদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় কোনও পর্যটক বিনা অনুমতিতে জিপসি থেকে নীচে নামতে পারবেন না, গাড়ির দরজা খোলা যাবে না, গন্ডার দেখার সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাছাড়া বন্যপ্রাণীদের উত্ত্যক্ত করা যাবে না। এই সমস্ত নির্দেশিকা মানতে হবে না হলে পর্যটকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বন বিভাগের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাফারি চালকদের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু বাধ্যবাধকতা লাগু করা হয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রে গাড়ির বিমা থাকতে হবে। বিমা ছাড়া তাঁরা গাড়ি জঙ্গলে চালাতে পারবেন না। জানা গিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই টুরিস্ট গাইড, কার সাফারি চালক এবং গাড়ির মালিকদের নিয়ে একটি ওয়ার্কশপ করা হবে। বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, সাধারণত উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে পর্যটক বোঝাই গাড়ি উলটে যাওয়ার ঘটনা এর আগে ঘটেনি। এই প্রথমবার পর্যটকদের গাড়িতে হামলা চালাল গন্ডার।