সম্প্রতি পড়ুয়াদের ট্যাব দুর্নীতি এবং কন্যাশ্রীর টাকা জালিয়াতির অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে কন্যাশ্রীর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এমন একাধিক স্কুলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এই প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই জালিয়াতি রুখতে এবার তৎপর হল রাজ্য সরকার। কন্যাশ্রী প্রকল্পে টাকা ছাড়ার ক্ষেত্রে নিয়মে বড়সড় বদল আনা হল। এবার কোনও ছাত্রী আবেদন করলে একাধিক পদক্ষেপে এবং প্রক্রিয়ার পর তবে টাকা ছাড়ার অনুমোদন দেবে প্রশাসন। (আরও পড়ুন: যুদ্ধ যুদ্ধ রব উঠেছে বাংলাদেশে, এই নিয়ে মুখ খুললেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা)
আরও পড়ুন: কন্যাশ্রীর টাকা লোপাটে অভিযুক্ত TMCর শিক্ষক নেতাকে থানা থেকে ছেড়ে দিল পুলিশ
এতদিন কন্যাশ্রী প্রকল্পে টাকা পেতে গেলে সাধারণত স্কুলের তরফে আবেদন চূড়ান্ত করে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। তার ওপর ভিত্তি করে জেলা প্রশাসনের তরফে আবেদন মঞ্জুর করা হতো। কিন্তু, আবেদনকারী ছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আলাদাভাবে যাচাই করা হতো না। এবার সেই নিয়মেই বদল করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, কন্যাশ্রী প্রকল্পে কোনও ছাত্রী আবেদন করলে এবার স্কুল আবেদন গ্রহণ করে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠাবে। পরে জেলা প্রশাসন আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে নথি পাঠাবে। জানতে চাওয়া হবে সেটা আসলে ওই ছাত্রীর নামে রয়েছে কি না। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে অ্যাকাউন্ট যাচাই করার পরে জেলা প্রশাসনে পাঠানো হবে। তাতে অ্যাকাউন্ট সংশ্লিষ্ট ছাত্রীর বলে প্রমাণিত হলে তবেই জেলা প্রশাসনের তরফে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে এবং টাকা ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। অর্থাৎ এবার থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাচাই ছাড়া কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা ছাড়া হবে না। যদিও এই পদ্ধতি আগে থেকেই রূপশ্রী এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে চালু আছে। সেই প্রক্রিয়ায় এবার চালু হল কন্যাশ্রীতে। (আরও পড়ুন: জারি 'নাটক', চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের শুনানির কী হল?)
আরও পড়ুন: নারীর অধিকার অস্বীকার করে ভারতের মুসলিমদের জন্য আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বাংলাদেশে
সম্প্রতি, কন্যাশ্রীতে টাকা জালিয়াতির অভিযোগ উঠতেই তৎপর হয় প্রশাসন। এ ব্যাপারে জেলাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে নারী, শিশু এবং সমাজ কল্যাণ দফতর। তারপরে জালিয়াতি রুখতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সব ক্ষেত্রেই যে জালিয়াতি হয়েছে তা নয়, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, স্কুলের ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের ভুলের কারণেও অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যায়। আবার টাকা আত্মসাৎ করার জন্য অন্য অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়ারও অভিযোগও বহু ক্ষেত্রে শোনা গিয়েছে। তাই জালিয়াতি রুখতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, চলতি মাস বা আগামী মাসে এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে।