ট্রেন চলাচলে গতি বাড়াতে এবং সঠিক সময়ে ট্রেন চালাতে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে পূর্ব রেলের তরফে। আন্ডার পাস তৈরি থেকে শুরু করে আরও অনেক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কিন্তু, তারপরেও বিভিন্ন শাখায় ট্রেন লেট হওয়ার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এ নিয়ে যাত্রীরা রেলকেই দায়ী করে থাকেন। তবে রেলের দাবি, সঠিক সময়ে লেভেল ক্রসিংয়ের গেট বন্ধ না হওয়ার কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। আর গেট বন্ধ হতে দেরি হচ্ছে বেপরোয়া গাড়ি চালক এবং কিছু পথচারীর জন্য। যারফলে প্রতিদিন বিভিন্ন শাখায় বহু ট্রেন দেরিতে চলছে। পূর্ব রেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, লেভেল ক্রসিং বন্ধ হতে দেরি হওয়ার কারণে প্রতিদিন গড়ে ৩১টি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে চলছে না। এই অবস্থায় লেভেল ক্রসিং নিয়ে কড়া বার্তা দিল রেল। কোনও যানবাহনের চালক বা পথচারীর কারণে লেভেল ক্রসিংয়ের গেট বন্ধ হতে দেরি হলে সেক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: জারি 'নাটক', চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের শুনানির কী হল?)
আরও পড়ুন: TTE-র ধাক্কায় ট্রেন থেকে পড়ে আহত ব্যবসায়ী, ‘পা পিছলে গিয়েছিল’ দাবি রেলের
রবিবার পূর্ব রেলের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পূর্ব রেলে লেভেল ক্রসিং গেট বন্ধ হতে দেরি হওয়ায় দৈনিক গড়ে ৩১টি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে চলছে না। মূলত যানবাহনের বাধার কারণে এই ট্রেনগুলি সময়ানুবর্তিতা হারিয়েছে। শুধুমাত্র ৩০ এপ্রিল এরজন্য মোট ৭৯টি ট্রেন লেভেল ক্রসিং গেটে সড়ক যানবাহনের বাধার কারণে দেরিতে চলেছে। এর জন্য মূলত গাড়ি চালকদেরকে দায়ী করেছে রেল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেপরোয়া চালকদের কারণে তৈরি হওয়া যানজটের কারণে বা ট্রেন আসার সিগন্যাল অগ্রাহ্য করে যানবাহন লেভেল ক্রসিংয়ে প্রবেশ করায় গেট বন্ধে সমস্যা হয়। (আরও পড়ুন: যুদ্ধ যুদ্ধ রব উঠেছে বাংলাদেশে, এই নিয়ে মুখ খুললেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা)
অনেক ক্ষেত্রেই রেল আসার সংকেত পাওয়ার পরেও বহু পথচারী ও যানবাহন নিয়ে চালকরা জোরপূর্বক লেভেল ক্রসিংয়ে প্রবেশ করেছেন। এতে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রেলের তরফে জানানো হচ্ছে, গেট সময়মতো বন্ধ না হলে শুধু সেই ট্রেনই লেট হচ্ছে না, পরবর্তী একাধিক ট্রেনের সময়েও প্রভাব পড়ছে। এছাড়াও যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। (আরও পড়ুন: এবার ফিরবেন রিষড়ার BSF জওয়ান? ভারতের চাপে বৈঠক চাইছে পাকিস্তান)
এনিয়ে কী পদক্ষেপ করা হতে পারে? সে প্রসঙ্গে রেলের তরফে ১৯৮৯ সালের রেলওয়ে আইনের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রেলপথের ওপর রেল প্রশাসনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবহারের অধিকার রয়েছে। রেল লাইনে চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রেনই অগ্রাধিকার পায়। তাই সড়ক যানবাহনকে রেল চলাচলে হস্তক্ষেপ না করে ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে সহায়তা করা প্রয়োজন। লেভেল ক্রসিংয়ে সড়ক নিরাপত্তা বিধি অমান্য করে চলাফেরা করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায়। এই অবস্থায় যদি কোনও পথচারী বা যানবাহনের চালক কর্তব্যরত গেটম্যানকে লেভেল ক্রসিং গেট বন্ধ করতে বাধা দেন তাহলে আইন অনুযায়ী তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। পূর্ব রেলের আবেদন, ট্রেন আসার সিগন্যাল পেলেই যেন সকলে লেভেল ক্রসিং গেট থেকে দূরে থাকেন।