ভারতের ট্রেনযাত্রা উপভোগ করতে এসে শেষমেশ হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন এক মার্কিন ট্রাভেল ব্লগার! সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল তাঁর অভিজ্ঞতা! আমেরিকার মিসৌরির বাসিন্দা নিক ম্যাডকের দাবি, ভারতের দূরপাল্লার ট্রেনের স্লিপার ক্লাসে একটানা ১৫ ঘণ্টা সফরের পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে গেলে জানা যায়, গুরুতর রেসপিরেটরি ইনফেকশন (শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ বা ফুসফুসে সংক্রমণ)-এর শিকার হয়েছেন ওই যুবক।
গত আটবছর ধরে বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন নিক। অনেক সময়েই তাঁকে প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু, সেসব জয়ও করেছেন। পরবর্তীতে নিজের ভ্রমণের কাহিনি তুলে ধরেছেন ইনস্টাগ্রামে। কিন্তু, ভারতের দূরপাল্লার ট্রেনের স্লিপার ক্লাসে তাঁর এই পূর্ব অভিজ্ঞতা কোনও কাজে এল না! যে সফরকে তিনি উল্লেখ করেছেন 'বেদনাদায়ক ট্রেনযাত্রা' বলে!
তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিককে দেখা গিয়েছে, তিনি অক্সিজেন মাস্ক পরে রয়েছেন। এবং ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেই ছবির ক্যাপশনে নিক লিখেছেন, 'আমি জানি না, এটা দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা ধরে ট্রেনযাত্রা, নাকি এক সপ্তাহ ধরে বারাণসীতে মৃতদেহের মধ্য়ে শ্বাস নেওয়ার ফল, কিন্তু যেটাই হোক, আমার ফুসফুস রোস্ট হয়ে গিয়েছে!'
তবে, নিক ম্যাডক কবে, কোন রুটে দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা ধরে স্লিপার ক্লাসে ট্রেন সফর করেছিলেন, সেটা স্পষ্ট নয়। কারণ, সেই বিষয়ে তিনি নির্দিষ্টভাবে কিছু উল্লেখ করেননি। কিন্তু, অন্য একটি ভিডিয়োয় নিক ট্রেনের শৌচালয়ের বেহাল দশা তুলে ধরেছেন। যা থেকে স্পষ্ট, মোটের উপর তাঁর অভিজ্ঞতা মোটেও ভালো হয়নি।
সেই ভিডিয়োর ক্যাপশনে নিক লিখেছেন, 'আর কখনও নয়'! সেই ভিডিয়োয় বেশ কিছু নাটকীয় লেখাও জুড়ে দিয়েছেন এই মার্কিন যুবক। যা থেকে এটা স্পষ্ট যে তাঁর হাল সেখানে বেহাল হয়ে গিয়েছে! নিজেকে উল্লেখ করেই নিক লিখেছেন, 'তিনি এখনও জানেন না, কিন্তু এখন থেকে ৭২ ঘণ্টা পরে, ফুসফুসে গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।'
যদিও নিকের এহেন পোস্টে অনেকে বেজায় বিরক্ত হয়েছেন। এক সোশাল মিডিয়া ইউজার যেমন লিখেছেন, 'আমাদের কখনও এমন সমস্যা হয়নি!! এটা একেবারেই প্রথম বিশ্বের সমস্যা!!'
আর একজনের বক্তব্য হল, 'যেভাবেই হোক, এই ব্যক্তি হয়তো এমন চিকিৎসকদের খুঁজে পেয়েছিলেন, যাঁরা তাঁকে বলেছেন, ট্রেনে সফর করেই তাঁর ফুসফুসে সমস্যা দেখা দিয়েছে!'
এদিকে, নিক বারাণসী নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তাতেও কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক ইউজার যেমন লিখেছেন, 'শুধুমাত্র মণিকর্ণিকা ঘাটেই মৃতদেহ দাহ করা হয়। সেখানেই আপনি এমনটা দেখতে পাবেন। কারণ, ওটা শ্মশান। আপনার ফুসফুসে কোনও সমস্য়া আছে কিনা, আমি জানি না। কিন্তু, আপনি সমগ্র বারাণসী শহরকে কেন মৃতদেহ দাহ করার শহর হিসাবে তুলে ধরছেন?'