একদিকে অন্ধকার নেমে এল ডুয়ার্সের চা শ্রমিকদের মহল্লায়। অন্যদিকে কিছুটা হলেও আশার আলো শ্রমিকদের একাংশের মধ্যে। একদিকে চা বাগান বন্ধের জেরে চরম অনিশ্চয়তার মধ্য়ে পড়লেন চা শ্রমিকদের অনেকেই। আবার অন্যদিকে সেই ডুয়ার্সেই দীর্ঘ ১৯ বছর পরে চা বাগান খোলা নিয়ে ইতিবাচক বার্তা। খুশির হাওয়া শ্রমিক কোয়ার্টারে।
ডুয়ার্সের আমবাড়ি চা বাগান বন্ধ হয়ে গেল আচমকাই। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে হাজার দুয়েক কর্মী ছিলেন এই বাগানে। মঙ্গলবার বাগানে কাজের জন্য গিয়েছিলেন শ্রমিকদের একাংশ। তাঁরা গিয়ে দেখেন যে কারখানার গেট খোলা রয়েছে কিন্তু অফিস চত্বর তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এরপর তাঁরা দেখেন ম্যানেজার, অ্য়াসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার কারোরই দেখা মিলছে না। এরপরই শ্রমিকরা বুঝে যান বাগান ছেড়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মাথায় হাত শ্রমিকদের।
পুজোর মুখে বোনাসের আশায় দিন গোনেন অনেকেই। এই বাগানের শ্রমিকরাও আশা করেছিলেন তাঁদের হাতেও আসবে বোনাসের টাকা। নতুন আশায় বুক বাঁধছিলেন। তার মধ্যে নেমে এল বাগান বন্ধের হতাশার অন্ধকার। কীভাবে বাড়িতে হাড়ি চড়বে সেটাই বুঝতে পারছেন না শ্রমিকদের অনেকেই।
সূত্রের খবর, এই বাগানে স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্য়া ছিল ১২৫০জন। বাকিরা অস্থায়ী হিসাবে কাজ করতেন। বাগান বন্ধের জেরে কাজ গিয়েছে তাঁদের সকলেরই। ইতিমধ্যেই শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বাগানের গেটে আসতে শুরু করেন। শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু কীভাবে আগামী দিনে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যাবে তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না অনেকেই।
অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের তুরতুরি চা বাগান খোলার ব্যাপারে আশার আলো দেখছেন অনেকেই। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের এই বাগান খোলা নিয়ে আলোচনা অনেকটাই ইতিবাচক হয়েছে বলে খবর। এই বাগান খোলা নিয়ে সোমবার ডুয়ার্স কন্যায় যে বৈঠক হয়েছে তা অনেকটাই ইতিবাচক হয়েছে বলে খবর।