ভারত-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি এলাকায় গুরুতর অভিযোগ উঠল এসএসবি (সশস্ত্র সীমা বল) জওয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন তিনি। এই অভিযোগে ওই জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত জওয়ানের নাম কাশীন্দ্র প্রসাদ। তিনি বর্তমানে পানিট্যাঙ্কিতে এসএসবি-র ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত। এই ঘটনায় অভিযুক্তের সহযোগী হিসেবে নির্যাতিতার মামাতো দিদিকেও গ্রেফতার করেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ। নির্যাতিতা তরুণী বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি! আদালতে অঝোরে কান্না রেভান্নার
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণীর বাবা কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন। তরুণী তার মা ও দাদুর সঙ্গে পানিট্যাঙ্কি সংলগ্ন একটি গ্রামে থাকেন। শুক্রবার সকালে মামাতো দিদি তরুণীকে তার দাদুর বাড়ি থেকে নিয়ে যান। পরে তাঁকে পানিট্যাঙ্কির একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অভিযুক্ত কাশীন্দ্র প্রসাদ তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর তরুণী দুপুরে একা বাড়ি ফিরে আসেন এবং বিছানায় শুয়ে থাকেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যরা পরে জানতে পারেন যে বিছানা রক্তে ভিজে গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তরুণী তার দিদিমাকে পুরো ঘটনা খুলে বলেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে তৎক্ষণাৎ তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। শুক্রবার রাতে পরিবার খড়িবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং পানিট্যাঙ্কির বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি চালায়। শনিবার সকালে তরুণীর মামাতো দিদিকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত এসএসবি জওয়ান কাশীন্দ্র প্রসাদকেও গ্রেফতার করা হয়।