বাড়ির একাংশ থেকে বেরিয়ে আসছে তেল। এই ঘটনায় তাজ্জব বনে গিয়েছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। শুধু তাই নয়, এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারাও হতহাক। একদিন বা দু’দিন নয় একবছরের বেশি সময় ধরে এই ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই ওএনজিসি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইপিসি ডিপার্টমেন্ট, রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এবং নরেন্দ্রপুর থানাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বাড়ির দেওয়াল চুঁইয়ে পড়া তেলের কাণ্ড ঘটে চলেছে। একাধিকবার তেলের উৎস খোঁজার চেষ্টা করেছেন বাড়ির মালিক। কিন্তু প্রত্যেকবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। এই ঘটনাটি রাজপুর–সোনারপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের রতন সরকারের বাড়িতে ঘটেছে।
এদিকে রতন সরকার এই বাড়িতে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন। এই বাড়িতেই গোটা পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি। সাম্প্রতি এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। আগে ছোট জায়গা থেকে তেল বেরতে থাকলেও ক্রমশ তা বড় আকার ধারণ করছে। রতন সরকারের স্ত্রী শম্পা সরকার বলেন, ‘১৯৭৪ সালে বাড়িটি তৈরি হয়েছিল। তখন এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। ২০২৩ সালে মে মাসে বাড়িটি সংস্কার করা হয়। তারপর থেকেই দেওয়াল চুঁইয়ে পড়তে থাকে তেল। প্রথমে সেটা কম থাকলেও পরে তা বাড়ে। আমরা ব্যক্তিগতভাবে তেলের উৎস জানার চেষ্টা করি। কিন্তু পারিনি। বিষয়টি পুরসভা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের জানিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতা খুনের অভিযুক্তকে পুণে থেকে গ্রেফতার, ময়নার ঘটনায় এনআইএ’র সাফল্য
অন্যদিকে কেন এই তেল বেরচ্ছে? তাহলে কি কোথাও তেলের খনি আছে? নাকি তেলের কোনও পাইপলাইন বাড়ির কাছে দিয়ে গিয়েছে? সেই পাইপলাইন সংস্কারের সময় কি ফেটে গিয়েছে? তা থেকে কি তেল বেরতে শুরু করেছে? এমন নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার ১২৩ ফরতাবাদ রোডের মজুমদার পাড়ায় রতন সরকারের বাড়িতে যান রাজপুর সোনারপুর পুরসভার একটি প্রতিনিধি দল। আগামী মঙ্গলবার আসার কথা রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টর সদস্যদের।
এছাড়া রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তারা মনে করছে যে তেল বের হচ্ছে তা দাহ্য নয়। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান রাজপুর সোনারপুর পুরসভার পৌর পারিষদ সদস্য নজরুল আলি মণ্ডল। এই পুরসভার পুরপারিষদ নজরুল আলি মণ্ডল বলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত সংবেদনশীল। পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়েছিল। সব দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। পুরসভাও এই তেলের উৎস জানার চেষ্টা করছে। বিশেষজ্ঞরা গিয়ে ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করেছেন।’