একেবারে এলাকার মাঠে এবার মিলল মানুষের খুলি। এই ঘটনা নিয়ে এখন ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে এখন এটাই চর্চিত বিষয়। তার সঙ্গে আতঙ্কের বাতাবরণও তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই মানব খুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার আজই তা পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য। কিন্তু কেমন করে জনবহুল মাঠে মানুষের খুলি এল? নেপথ্যে কে বা কারা? খুন করে কি পুঁতে দেওয়া হয়েছিল? সব প্রশ্নের উত্তর জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, সোদপুরের অমরাবতী মাঠের অদূরেই আবর্জনার ভ্যাট আছে। আজ, শুক্রবার সেই ভ্যাটেরই আশেপাশে মাটি খোঁড়ার কাজ করছিলেন কয়েকজন কর্মী। তখনই মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হয় মানুষের মাথার খুলি। যা দেখে শিউরে ওঠেন ওই কর্মীরা। চিৎকার করে ওঠেন তাঁরা। আর মানুষের খুলি দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন খড়দা থানায়। ওই খুলিটি পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এখানে শ্রমিকরা বুঝতে পারেন মাটির নিচে শক্ত কিছু একটা আছে। তারপরই মেলে রক্তমাখা মানুষের মাথার খুলি।
আরও পড়ুন: তৃণমূল যুব নেতার বাড়িতে ঢুকে কোপাল দুষ্কৃতীরা, বসিরহাটে গুলি চালিয়ে চম্পট
অন্যদিকে এই রক্তমাখা মানুষের খুলি দেখে পুলিশের অনুমান, কিছুদিন আগেই খুন করে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। তাহলে বাকি দেহটি কোথায়? উঠছে প্রশ্ন। খুলিটি উদ্ধার করে তাঁরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই খুলিটি উদ্ধার করে এখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসলেই বোঝা যাবে তা কত দিনের পুরনো বা তা নারী না পুরুষের। ইতিমধ্যেই অন্যান্য থানায় খবর পাঠানো হয়েছে। যদি কোনও দেহ পাওয়া গিয়ে থাকে তাহলে মিলিয়ে দেখা হবে খুলি।
এছাড়া এই খুলির কোনও পরিচয় এখনও সামনে আসেনি। তবে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে জানার জন্য। এই খুলি যে প্রকাশ্যে দিবালোকে মাঠে আসেনি সেটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা মাটিতে পুঁতে দিয়ে চলে গিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ জেলা পুলিশ। তবে তদন্তের জন্য সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ফরেনসিক রিপোর্ট এলে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।