ট্রাকের সামনে উইন্ডস্ক্রিনে একটি কাগজে লেখা - 'On Army Duty'। অর্থাৎ, 'সেনার কাজে নিযুক্ত'। সেই ট্রাকে করেই কাঠ পাচারের ছক কষছিল মাফিয়ারা। সেই ছক বানচাল করে দিল বনদফতরের কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলায়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিনস্থ নর্থ রায়ডাক রেঞ্জে কাঠ পাচারের চেষ্টা করছিল স্থানীয় মাফিয়ারা। সেই খবর গোপনসূত্র পেয়ে যান রেঞ্জ অফিসার শ্যামল মণ্ডল। এই আবহে দল নিয়ে তিনি পৌঁছে যান মারাখাতা বিটের কাছে লালচাঁদ পুর এলাকায়। সেখানেই ওঁত পাতেন বন কর্মীরা। (আরও পড়ুন: টাকা দিয়ে রফার চেষ্টা করেন কুণাল, বিস্ফোরক আরজি করের নির্যাতিতার মা)
আরও পড়ুন: নিউ গড়িয়া-সেক্টর ৫ মেট্রো আটকে কত মিটারের জন্য? সংসদে মিলল জবাব
রিপোর্ট অনুযায়ী, রাত দুটো চল্লিশ নাগাদ রায়ডাক চা বাগানের দিক থেকে একটি ট্রাক আসে। ট্রাকের সামনের উইন্ডস্ক্রিনে লেখা 'আর্মি ডিউটিতে নিযুক্ত'। একটি সাদা কাগজে এই লেখাটি কাচে সেঁটে রাখা হয়েছে। সেই ট্রাকটিকেই রুখলেন বনদফতরের কর্মীরা। শুরু হল তল্লাশি। তা থেকে পাওয়া গেল চোরাই কাঠ। এদিকে ট্রাকের সঙ্গে থাকা চোরাচালানকারীরা অন্ধকারে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাদের ধরতে পারেননি বনকর্মীরা। (আরও পড়ুন: বাংলায় নতুন ভোটার বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে, এই জেলাগুলিতে আবেদনের হার ৯ গুণ বেশি)
পরে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যায় বন দফতরের কর্মীরা। এদিকে শামুকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বন দফতর। জানানো হয়েছে, সেই ট্রাক থেকে বাজেয়াপ্ত কাঠের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা। এই বাজেয়াপ্ত কাঠ সেগুন বলে দাবি করা হচ্ছে। এভাবে সেনার কাগজ সাঁটানো ট্রাকে করে চোরাচালানের অভিনব চেষ্টায় শোরগোল পড়েছে। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পলাতক পাচারকারীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানও শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে এই কাঠ বনের কোথা থেকে কাটা হয়েছে, সেগুলি পাচার করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই পাচারের নেপথ্যে কারা জড়িত, তা বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।