টিকাকরণ কেন্দ্রের সামনে তৃণমূল কর্মীদের হাতে হেনস্থার 'শিকার' হতে হল শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষকে। প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভে সামিল হন তিনি। বিজেপির তরফে এই বিষয়ে পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।এদিন কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে আসেন বিধায়ক। এসেই সকালে তিনি দলীয় অফিসে যান। দলীয় অফিস থেকে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তিনি একটি ভ্যাকসিন সেন্টারের সামনে এসে আসেন। বিজেপির দাবি, বিধায়ক দেখেন যে শিলিগুড়ি পুরনিগমের একটি কর্মচারী হাতে লিস্ট নিয়ে নাম ডাকছেন আর পিছনে এলাকার তৃণমূলের নেতা এই কাজে তদারকি করছেন। এই দৃশ্য দেখার পর শিলিগুড়ির বিধায়ক ওই তৃণমূল নেতাকে প্রশ্ন করে, ‘আপনারা এই ভাবে ভ্যাকসিন দিচ্ছেন কেন?’ বিজেপির দাবি, উত্তরে বিধায়ককে জানানো হয়, তাঁদের এভাবেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুনেই প্রতিবাদ করে ওঠেন শিলিগুড়ির বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের বচসাও হয়। জানা যায়, বিধায়কের স্কুটি ঘিরে ধরে তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করেছেন এক তৃণমূল নেতা। বিধায়কের স্কুটিতে লাথিও মারা হয় বলে অভিযোগ।এরপরই দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন শিলিগুড়ির বিধায়ক। প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। বিধায়ক শংকর ঘোষ অভিযোগের সুরে জানান, 'বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে তৃণমূল ভ্যাকসিন ক্যাম্পগুলির দখল নিয়ে নিচ্ছে। যেখানে পুরনিগমের চেয়ারম্যান নির্দেশ দিচ্ছেন, প্রথমে যিনি আসবেন, তিনিই প্রথমে ভ্যাকসিন পাবেন, সেই নিয়ম না মেনে এভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার মানে কী? তাহলে কি তৃণমূলের কর্মীরাই পুরনিগমের চেয়ারম্যানের কথা মানেন না।' এদিন হুঁশিয়ারির সুরে শিলিগুড়ির বিধায়ক জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেখানে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, সেথানে শুধু সরকারি আধিকারিকদের থাকতে হবে। কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী থাকতে পারবেন না। যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে, তাহলে তিনি প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবেন ও প্রতিবাদ করবেন।