আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় যাওয়ার পথে কোচবিহারে একাধিক জায়গায় বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যার জেরে বিক্ষিপ্ত ভাবে উত্তেজনা ছড়ায় বিভিন্ন জায়গায়। হামলার মুখে পড়েও অধিকাংশ জায়গায় গন্তব্যের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। এই নিয়ো কোনও মন্তব্য করেনি তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সভা। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাসে করে সেখানে যোগদান করতে যাচ্ছিলেন দিনহাটার বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ শিমুলতলায় বাস থামায় কয়েকজন যুবক। এর পর লাঠি ও বাঁশ দিয়ে বাসের কাচ ভাঙতে থাকে তারা। লাঠির আঘাতে ভাঙে বাসের উইন্ডস্ক্রিন। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এর পর অন্য গাড়িতে আলিপুরদুয়ারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি কর্মীরা।
দিনহাটা ছাড়াও শীতলখুচি, কোচবিহার দক্ষিণসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর সভা মুখি বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শীতলখুচিতে গাড়ি থেকে নামিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মারধরে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। তবে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি তৃণমূল।
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ বলেন, ‘এতে স্পষ্ট উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই তারা বিধানসভা ভোটে ভোটের ১ বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর সভায় বাধা দিচ্ছে। কিন্তু এভাবে নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপিকে রোখা যাবে না। আমরা কমিশনের কাছে এই ঘটনাগুলির উল্লেখ করব। জানাব যে কোচবিহারের আইনশৃঙ্খলার কী অবস্থা! আর এই পরিস্থিতিতে সেখানে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব কি না?’