এই ঘটনার পিছনে বিজেপির শাখা সংগঠন জড়িত রয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা এনআইএ–সিবিআই নিয়ে আসতে মামলা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন। ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ।
পুলিশের কড়া নিরাপত্তা।
রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে বৃহস্পতিবার রাত থেকে একটানা অশান্তি চলছে হাওড়া শহরে। এবার তার জেরে কড়া পদক্ষেপ করল পুলিশ। কারণ আজ, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোনও অশান্তি রেয়াত করা হবে না। তাঁর হুঁশিয়ারির পরেই বিশাল পরিমাণ পুলিশ ফোর্স নামানো হল হাওড়া শহরে। আজ দুপুরে নতুন করে ওই এলাকায় গোলমাল ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ।
এদিকে হাওড়া কাণ্ড নিয়ে আজ খোঁজখবর নিতে সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে ক্রমেই স্বাভাবিকের দিকে জিটি রোড। শিবপুর থানায় আসেন হাওড়া কমিশনারেটের সিপি প্রবীণ ত্রিপাঠী। এডিজি সাউথ বেঙ্গল সিদ্ধিনাথ গুপ্তা বলেন, ‘ট্রাফিক চালু হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি আছে।’ গতকাল রামনবমীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল হাওড়ার শিবপুরে। সেই সংঘর্ষের আগুন এখনও জ্বলছে। রামনবমীর মিছিল ঘিরে বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের পর শুক্রবার আবার অশান্তি ছড়াল হাওড়ায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। গাড়িতে আগুন। বৃহস্পতিবার রামনবমীর মিছিল ঘিরে এমনই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শিবপুর থানা এলাকার জিটি রোড চত্বর।
অন্যদিকে হাওড়ার জিটি রোড সংলগ্ন কাজিপাড়া থেকে সন্ধ্যাবাজার–সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। হাওড়া পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, দু’জন থেকে তিনজনের বেশি ব্যক্তি এক জায়গায় জড়ো হলে বা চলাফেলা করলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ গ্রেফতার করবে। সমস্ত মানুষজনকে রাস্তা ছেড়ে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। গোটা হাওড়া শহরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।