কৃষ্ণনগরে কলেজ ছাত্রী ঈশিতা মল্লিক খুনের তদন্তে বড়সড় অগ্রগতি হলেও, মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিং ও তার খুড়তুতো ভাই নীতিনপ্রতাপ সিং এখনও পুলিশের জালে ধরা পড়েনি। তবে তদন্তকারীদের দাবি, অভিযুক্তদের ধরতে আর বেশি সময় লাগবে না। এই ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঘটনার ছয়দিন কেটে গেলেও অধরা দেশরাজ, কী বলছেন কৃষ্ণনগরের নিহত ঈশিতার মা?
পুলিশ সূত্রে খবর, গোরক্ষপুরের দেওরিয়া শহরের কাছে শুক্রবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে আটক করেছে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের টিম। ধৃতের সঙ্গে নীতিনপ্রতাপ সিংয়ের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র জোগানোর পিছনেও ওই যুবকের ভূমিকা থাকতে পারে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হাতে পেয়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানিয়েছেন, খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে একাধিক জায়গায় অভিযান চলছে। তদন্ত দ্রুত এগোচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য মিলেছে। খুব শিগগিরই মূল অভিযুক্তরা ধরা পড়বে।
পুলিশ মনে করছে, অভিযুক্তদের পালাতে ও লুকিয়ে থাকতে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করছে গোরক্ষপুরের প্রভাবশালী ঠাকুর পরিবারের কয়েকজন সদস্য। ফলে পুলিশের অভিযান শুরু হওয়ার খবর আগেভাগেই পাচ্ছে অভিযুক্তরা। তবে পুলিশ বলছে, এবার জাল ক্রমশ গুটিয়ে আসছে। এদিকে, নিহত ঈশিতার পরিবার জেলা পুলিশের তদন্তে আস্থা রাখছে। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঈশিতার বাবা দুলাল মল্লিক বলেন, তাঁরা দেশরাজকে চিনতেন না, মেয়ের সঙ্গেও ওর যোগাযোগ ছিল বলে জানতেন না। তবে পুলিশের তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট। সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। দ্রুত খুনিদের গ্রেফতার করা হোক। একই সুরে ঈশিতার মা কুসুম মল্লিক বলেন, ঘটনার দিন তাঁকেও গুলি করা হয়েছিল, ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তার দিকটিও পুলিশ দেখছে। তদন্তকারীরা নিশ্চিত, আটক যুবককে জেরা করলেই খুনের ছক ও অভিযুক্তদের গতিবিধি নিয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা মিলবে। যদিও এখনই বড় চ্যালেঞ্জ মূল অভিযুক্ত দেশরাজ ও নীতিনকে পাকড়াও করা।