বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির হস্টেলে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের র্যাগিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ২ পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে। দুজনেই বিহারের বাসিন্দা। আক্রান্তদের অভিযোগ, এনিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কলেজের তরফে কোনওরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। র্যাগিংয়ের ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়া।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ফের র্যাগিং, বিক্ষোভ, ফিরতে হল রোগীদের, ব্যাহত পরিষেবা
জানা গিয়েছে, ধৃত দুই পড়ুয়ার নাম হল পীযূষ কুমার এবং সৌরভ কুমার। এর মধ্যে পীযুষ বিহারের নওদা জেলার মুফ্ফসিল থানার ভাদোখানার বাসিন্দা এবং সৌরভ কুমার বৈশালী জেলার পাতেপুর থানার বাজেদপুরের বাসিন্দা। র্যাগিংয়ের অভিযোগে দুজনকে বর্ধমানের গোলাপবাগ মোড় থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। টেকনোলজির এজিসি বোস বয়েজ হস্টেলে পড়ুয়াদের র্যাগিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়ারা এই র্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষের কয়েকজন পড়ুয়া দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের উপর মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে রবিবার ভোররাতে র্যাগিং মারাত্মক আকার ধারণ করে।
অভিযোগ, সিনিয়র পড়ুয়ারা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অনিরুদ্ধ শর্মাকে রড, লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় তাঁর রুমমেট এবং বাকি পড়ুয়ারা তাঁকে বাঁচাতে আসেন। তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অনিরুদ্ধর মাথা লক্ষ্য করে রড দিয়ে হামলা চালায় অভিযুক্তরা। কিন্তু, আটকাতে গেলে রডে গুরুতর আঘাত লাগে তাঁর হাতে। অন্যান্য পড়ুয়ারাও জখম হন। পরে অনিরুদ্ধ থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
অনিরুদ্ধর অভিযোগ, এর আগেও এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে নানাভাবে মারধর করা হয়েছে। তারপরেও কলেজের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করেছে। ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। বর্ধমান সিজেএম আদালতে ধৃতদের পেশ করা হলে তাঁদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। মারধরে ব্যবহৃত লোহার রড উদ্ধার করতে এবং বাকিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়েছে। তাঁদের দুদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।