নন্দকুমার থানা এলাকায় এক মহিলা নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির একটি অর্কেস্ট্রা দলের মালিকের দিকে। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে নন্দকুমার থানার পুলিশ। অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর ধৃতকে তমলুক আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: মালদায় মাঠ থেকে উদ্ধার অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর রক্তাক্ত দেহ, খুন, নাকি অন্য কিছু?
জানা গিয়েছে, গত ১ অগস্ট নির্যাতিতা তরুণী নন্দকুমার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, গত ১০ জুলাই ঘটনাটি ঘটলেও ভয় ও হুমকির কারণে তিনি প্রথমে কাউকে কিছু জানাতে পারেননি। অভিযুক্ত তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিলেন। তবে, ভয় কাটিয়ে তরুণী শেষ পর্যন্ত পুলিশের শরণাপন্ন হন। তিনি বলেন, অনেক দিন ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেননি। তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে তিনি সাহস করে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পরই তৎপর হয়ে অভিযুক্ত অর্কেস্ট্রা মালিককে গ্রেফতার করে। শনিবার তাকে তমলুক আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, নন্দকুমার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গরিব পরিবারের মেয়েদের নাচের অনুষ্ঠানের নামে শোষণ করা হচ্ছে। তমলুকের বিজেপি নেতা সুদীপ দাস পুলিশ ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। যুব তৃণমূল নেতা পার্থসারথী দাস জানিয়েছেন, পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ানো এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।